৭ খুনের দায় র্যাব নিবে না: বেনজির
দিনবদল ডেক্স: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র্যাবের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও সদস্যের মৃত্যুদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সাত খুনের ঘটনায় দায় র্যাবের নয়। এর দায়দায়িত্ব যারা অপরাধ করেছেন তাদের। কোনও ব্যক্তির অপরাধের দায় কখনোই র্যাব গ্রহণ করতে পারে না।’
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর স্টেশন এলাকায় অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঠে র্যাব ১৩ প্রধান কার্যালয়ে দুস্থদের মধ্যে র্যাবের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাবের ডিজি বলেন, ‘কিছু র্যাব সদস্য অন্যায় করেছে, এ দায় তাদের। তবে এতে র্যাবের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে ধরে মনে করলে র্যাবের প্রতি অবিচার করা হবে।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘ওই ঘটনার (সাত খুন) পর প্রত্যেককে র্যাব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। র্যাবই ঘটনার পরপরই তদন্ত করে তাদের দায়ী করেছে দোষি সাব্যস্ত করেছে। শুধু তাই নয়, এর পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে কিন্তু র্যাব কোনও অন্যায়কারীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এখন কেউ যদি অন্যায় প্রলোভনে পড়ে এটা তার তার বিষয়, র্যাবের বিষয় নয়।’ উল্লেখ্য, সাত খুনের ঘটনায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড হয়েছে। র্যাব ১১ এর সাবেক কমান্ডার তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ আরও কয়েকজন মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘র্যাব প্রতিষ্ঠার পর গত ১৩ বছরে যে সব র্যাব সদস্য অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত শত শত সদস্যকে জেলে পাঠানো হয়েছে, তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মাতৃবাহিনীতে পাঠানো হয়েছে। অনেককে লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে। র্যাব সদস্যদের কোনও অন্যায় সহ্য করা হবে না। যে কোন মূল্যে র্যাবের ক্লিন ইমেজ রক্ষার জন্য যা করা দরকার তাই করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত যত জঙ্গি ধরা পড়েছে বেশির ভাগই উত্তরাঞ্চলে বসবাস করে। কিন্তু কেন উত্তরাঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠির উত্থান ঘটেছিল, কেন আবারও ২০১৫ সালে নিউ জেএমবি নামে জঙ্গি হামলা শুরু করা হলো এ বিষয় নিয়ে র্যাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে দেশের ১৪টি জেলায় গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কী কারণে বার বার জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের উন্মেষ আর উত্থান ঘটছে এটা খুঁজে বের করা হবে। এর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
এর আগে দুস্থ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করার আগে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, রংপুর কুড়িগ্রামে শীতের কারণে মানুষ কষ্ট পায়, বিশেষ করে দুস্থরা । এই সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এ অঞ্চলে যে মঙ্গা হতো প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তা পুরোপুরি দূর হয়েছে। এখন দেশে মাত্র ৯ ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে। আগামী ৫ বছরে আমাদের দেশ দারিদ্রমুক্ত দেশে পরিণত হবে।’
এ সময় র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।