হলুদ সাংবাদিকের শিকার সাধারণ মানুষ

0

k

দিনবদল ডেক্স: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বড় অঙ্কের পুঁজি বিনিয়োগ করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে একটি বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণ করার লক্ষ্যে প্রায় চার একর জায়গা কেনেন। যন্ত্রপাতি আমদানি থেকে শুরু করে সব প্রস্তুতি সেরে নির্মাণকাজও শুরু করেন জোরেশোরে।
মাসখানেক পর হঠাৎ একদিন এলাকার প্রভাবশালী ইদ্রিস আলী দলীয় কিছু কর্মী আর স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক নিয়ে হাজির হন প্রবাসী ব্যবসায়ীর কাছে। তাঁরা দাবি করেন, যে জায়গায় হোটেল নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি ইদ্রিস আলীর। হুমকি দিয়ে বলা হয়, কাজ বন্ধ না করলে পত্রিকায় রিপোর্ট করা হবে। ওই ব্যবসায়ীর মাথায় তখন আকাশ ভেঙে পড়ে। তাঁর মনে হয়, পত্রিকায় রিপোর্ট ছাপা হলে সত্য-মিথ্যা যাচাই হবে পরে। তার আগেই প্রশ্ন উঠবে বিভিন্ন মহল থেকে। সামাজিকভাবে তিনি ছোট হয়ে যাবেন। রীতিমতো ঘাবড়ে যান ওই ব্যবসায়ী। পরিস্থিতি আঁচ করে ইদ্রিস আলীর সঙ্গে থাকা সাংবাদিক ওই ব্যবসায়ীকে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে বলেন। যা বোঝার বুঝে নেন ব্যবসায়ী। তিনি ইদ্রিস আলী ও তাঁর সাথিদের চাঁদা হিসেবে দিয়ে দেন মোটা অঙ্কের অর্থ। এভাবে বিভিন্ন অজুহাতে পত্রিকায় রিপোর্ট করার হুমকি দিয়ে হোটেল নির্মাণকালীন কয়েক দফা চাঁদা নেওয়া হয় ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে।

প্রবাসী ওই ব্যবসায়ী রাজধানীর রাজারবাগেও আরেকটি অভিজাত হোটেল নির্মাণ করেন। এখানেও তাঁকে বাধ্য করা হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে। এ দেশে বিলাসবহুল আরো হোটেল বানানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু অভিজ্ঞতা সুখকর না হওয়ায় তিনি দেশে আর কোথাও কোনো হোটেল নির্মাণ করেননি। যদিও ব্যবসায়ী পাশের দেশ মিয়ানমারে একটি, চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে একটি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি অভিজাত হোটেল বানিয়েছেন। দেশেও তাঁর দুই হোটেলে আড়াই শ লোক কর্মরত আছেন।

ব্যাংকে কর্মরত জামিল সাহেব খুলনা শহরে তিন কাঠার একটি প্লট পেয়েছেন পৈতৃক সূত্রে। কারো সাতে পাঁচে নেই। তাঁর চাচাতো ভাই স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর। জামিল সাহেবের জমি তাঁর মনে ধরে যায়। নিজের অনুগত এক সাংবাদিককে দিয়ে জামিল সাহেবকে অবৈধ দখলকারী বর্ণনা করে এক পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ করান। এতে জামিল সাহেবকে বাঁকা চোখে দেখতে শুরু করেন পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশীসহ অফিসের অনেক সহকর্মীও। পত্রপত্রিকায় আরো রিপোর্ট হবে—এমন হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে জামিল সাহেবের জমিটি দখলই করে নেন ওই কাউন্সিলর।

শুধু জামিল সাহেব বা প্রবাসী ওই ব্যবসায়ীই নন, হলুদ সাংবাদিকতার শিকার দেশের অনেক নিরীহ মানুষও। সাংবাদিক নামধারী কিছু ব্যক্তি সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। আবার দেশের অনেক সম্পদশালী অসাধু ব্যক্তিও সমাজে নিজেদের প্রভাব বিস্তার কিংবা অন্য কোনো সুবিধা আদায় করতে অনেক সময় ‘মিডিয়া হাউস’ বানিয়ে ফায়দা লুটছেন। কর্মীদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য ব্যবসায়ীকে ঘায়েল করতে নিজের তৈরি মিডিয়ায় মুখরোচক ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করাচ্ছেন। কখনো বা কিছুটা সত্যের সঙ্গে অনেক মিথ্যা তথ্য মিশিয়ে মুখরোচক গল্পও ছাপা হচ্ছে। পুলিশ বা প্রশাসনের অনেকে আবার পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ার ভয়ে ওই সব সংবাদের সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে উল্টো যার নামে রিপোর্ট হয় তাঁকেই চেপে ধরেন। এ ধরনের অপসাংবাদিকতা বা হলুদ সাংবাদিকতার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সৎ ব্যবসায়ীরা, যাঁরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। কেউ কেউ বিনিয়োগ থেকেও পিছিয়ে যাচ্ছেন এমন পরিস্থিতি এড়ানোর লক্ষ্যে। হলুদ সাংবাদিকতায় এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। সংগত কারণেই ওই ধরনের মিডিয়া হাউসের সম্পদশালী মালিক কিংবা সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেছেন দেশের ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেন, যেসব মানুষ অর্থ-সম্পদের বিনিময়ে একটি মিডিয়া হাউস খুলে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফায়দা লোটে, সম্মান নষ্ট করে, অর্থনীতিতে বিনিয়োগ থেকে দূরে রাখে, তারা দেশের শত্রু। এ ছাড়া যারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বা প্রকাশ করে চাঁদা নেয় বা সুবিধা নিয়ে থাকে তারা আসলে সাংবাদিকই নয়। আবার অর্থের লোভে যারা মানুষকে বিপদে ফেলে, তারাও সাংবাদিক নয়। এদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। এতে সমাজে শান্তি আসবে। দেশ উপকৃত হবে।

ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সৎ সাংবাদিকতার নামে গণমাধ্যমের যাত্রা শুরু করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা গণমানুষের পক্ষে কথা বলা হবে এমনটি প্রচার করে পরে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে সাংবাদিকতাকে ব্যবহার করেন। তাতে পেশাদারি বিকশিত হয় না। কোনো রাজনৈতিক দল মুখপত্র বের করলে সেটা বোঝা যায় কেন ও কী কারণে বের করা হয়েছে। কিন্তু গণমানুষের জন্য সংবাদপত্র বা অন্য কোনো গণমাধ্যম যখন চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত হয় তখন সাংবাদিকতাই আক্রান্ত হয়। ব্যক্তিস্বার্থে সাংবাদিকতা ব্যবহার করে উদ্দেশ্য হাসিল করার সংস্কৃতি থেকে বেরোতে হলে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্য সৎ হতে হবে। না হলে পেশাদার সাংবাদিকরা বিপদগ্রস্ত হন। তাতে অপসাংবাদিকতা বিকশিত হয়। ভারতের সর্বশেষ অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীরা তাঁদের পক্ষে প্রচারের উদ্দেশ্যে মিডিয়া হাউসে বিনিয়োগ করেছেন। এটা আমাদের দেশেও হচ্ছে। তা বন্ধ করতে হলে প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করে, নীতিমালা তৈরি করে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। ’

মনজুরুল আহসান বুলবুল আরো বলেন, ‘ষাটের দশকে মনে করা হতো সাংবাদিক বিক্রি হয়ে গেছে। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতার একটি অংশ পেইড নিউজ হিসেবে মনে করা হয়। এ অবস্থার কারণ বিনিয়োগকারীর অসৎ উদ্দেশ্য, নৈতিকতার অভাব কিংবা নৈতিকতার প্রতিফলন ঘটে এমন কঠোর নীতি বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানের কঠোর না হওয়া। তবে আমাদের দেশে কিছু গণমাধ্যম নীতি বাস্তবায়ন করছে। ’

তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, অপসাংবাদিকতা রোধ করতে সরকার প্রেস কাউন্সিলকে ক্রমেই শক্তিশালী করছে। প্রেস কাউন্সিলের বিদ্যমান নীতিমালা শক্তিশালী এবং সেগুলো প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে সরকার তার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকার সম্প্রচার ও অনলাইন প্রতিষ্ঠানের জন্য নীতিমালাও করছে।

সাংবাদিকদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্য আলাদা কর অঞ্চল গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সৎ ও হিসাবমতো রাজস্ব পরিশোধ করায় এবারই প্রথম এনবিআর প্রবীণ ও নবীন মিলিয়ে কয়েকজন সাংবাদিককে এবং একাধিক মিডিয়া হাউসকে সম্মাননা দিয়েছে। সাংবাদিকদের আয়ে স্বচ্ছতা আনতেও উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। সাংবাদিক পরিচয়ে অন্যদের জিম্মি করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকা কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আয়কর রিটার্নের তথ্যে অর্থাৎ স্থাবর সম্পদ এবং ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণসহ আয়-ব্যয়ের হিসাবে অসামঞ্জস্য থাকায় ২৭ সাংবাদিককে তলব করা হয়। এদের কাছে প্রকৃত আয়-ব্যয়ের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য গোপন করার কারণও ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ওই সাংবাদিকদের অনেকেই দেশের অনেক বড় মিডিয়া হাউসে কর্মরত। সর্বশেষ মডেলের গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়ান তাঁরা রাজধানীর বুকে। রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক প্লট বা ফ্ল্যাটেরও মালিক। তাঁদের সন্তানরা বিদেশে নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে। তাঁদের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখতে দুদকে চিঠি পাঠিয়েছে এনবিআর।

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান কালের কণ্ঠকে বলেন, এনবিআরের কাছে সব করদাতাই সমান। সমাজের বন্ধু সাংবাদিকরা। সব পেশায়ই সৎ-অসৎ আছে। রাজস্ব ফাঁকিবাজ অসৎ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এনবিআরের দায়িত্ব। এনবিআর তার দায়িত্ব পালন করছে।

বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাংলাদেশের অর্থনীতি বেসরকারি খাতনির্ভর। দেশের রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয়ের শতকরা ৬০ ভাগই পরিশোধ করছেন ব্যবসায়ীরা। পড়াশোনা শেষ করে বছর বছর তরুণ-তরুণীরা চাকরির খোঁজে ছোটে বেসরকারি খাতে। অথচ বিভিন্নভাবে বেসরকারি খাত বিপাকে পড়ছে। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেও তাদের ওপর বিভিন্ন খড়্গ নেমে আসে অনেক সময়।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ওপর প্রভাব খাটিয়ে ২১৬ জন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিককে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। সে সময় গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ভয়ে আরো শ তিনেক ব্যবসায়ী দেশ ছেড়েছিলেন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে বা বিভিন্ন কৌশলে আদায় করা হয়েছিল প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছিল তিন শ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকের। ওই ব্যবসায়ীদের অনেকে পথে বসেছেন। কেড়ে নেওয়া অর্থ এখনো ফেরত পাননি অনেকে। অনেকের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ওই সময় কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম যাচাই-বাছাই ছাড়াই ব্যবসাযী ও রাজনীতিকদের সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ পরিবশেন করে।

একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ওই ধরনের বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হওয়া সত্ত্বেও অনেকে বিনিয়োগে আসছেন। এ দেশের আবাসন খাত বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীল। জাহাজ নির্মাণ, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেকট্রিক-ইলেকট্রনিক, অটোমোবাইল, তৈরি পোশাক শিল্প, চামড়া খাত, প্লাস্টিক, কাগজসহ শিল্পের প্রায় সব খাতেই বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দাপট। এসব উদ্যোক্তাকে বেকায়দায় ফেলতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বীরা।

আবাসন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিহ্যাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, এ দেশে পরিকল্পিত আবাসন খাত গড়ে তুলতে ব্যবসায়ীরা কাজ করে চলেছেন। সব শ্রেণির মানুষের জন্য নিরাপদ আবাসন গড়ে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ব্যবসায়ী যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন সে জন্য সরকারের উচিত নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা। তিনি আরো বলেন, ‘নানা রকম প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণেই অনেক ব্যবসায়ী অর্থপাচারের পথ বেছে নিচ্ছেন। সুবিধামতো দেশে বিনিয়োগ করছেন। সেকেন্ড হোম করছেন। অর্থ গচ্ছিত রাখছেন সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। ’

কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সরকারি সংস্থাগুলোও অনেক সময় বিমাতাসুলভ আচরণ করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। দুদক, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা অর্থ বিনিয়োগের পর বিভিন্ন প্রশ্ন তোলে। এসব জবাবদিহি এড়াতেও ব্যবসায়ীরা অর্থপাচারের মতো পথ বেছে নিচ্ছেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, একদিকে চাঁদাবাজি, প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকি, অন্যদিকে সরকারি সংস্থার কৈফিয়ত, নীতিহীনতা সব কিছু মিলিয়েই ব্যবসায়ীরা বিপাকে আছেন। অথচ দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে এসব ব্যক্তির নিরাপদে অর্থ বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *