সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ ধারণ ক্ষমতার বেশী যাত্রী নিয়ে আটকা পড়েছে
দিনবদল নিউজ: কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এলসিটি কাজল’ বঙ্গোপসাগরে ডুবোচরে আটকা পড়েছে। ওই জাহাজে কমপক্ষে সাড়ে সাতশ’ পর্যটক রয়েছে; যা ধারণ ক্ষমতার দুই গুণ বেশি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজটি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এটি আটকা পড়ে। জাহাজটির বেলা ১২টায় সেন্টমার্টিনে পৌঁছার কথা ছিল।
ওই জাহাজে থাকা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাঝ সাগরে পৌঁছার পর জাহাজটি ডুবোচরে আটকা পড়ে। এসময় পর্যটকরা কান্নাকাটি শুরু করেন।’
জাহাজটিতে সাড়ে সাত শতাধিক পর্যটক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য সেন্টমার্টিন থেকে কাঠের ট্রলার নিয়ে আসছে জাহাজ কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম সমকালকে বলেন, ‘জাহাজ আটকা পড়ার খবর শুনেছি। জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আটকাপড়া পর্যটকদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে ‘এলসিটি কাজল’ জাহাজের ব্যবস্থাপক আবদুর রহিম খোকার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ‘এলসিটি কাজল’ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলের যোগ্য নয়। তবুও প্রশাসন কিভাবে জাহাজটিকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে তা বোধগম্য নয়। জাহাজ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে থাকে—তাই এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
তারা আরও জানায়, এই রুটে এমন জাহাজ দেওয়া উচিত যা কম পানিতেও চলাচল করতে পারে। কেননা বেশিরভাগ সময় দেখা যায় ছয়টির মধ্যে তিনটি ছাড়া এই রুটের জাহাজগুলো প্রায়ই মাঝপথে ডুবোচরে আটকা পড়ছে।