সেনাবাহিনীর দুর্নীতিতে ইউক্রেন সরকার বেকায়দায়

0

০৩ ভাদ্র ১৪৩০বঙ্গাব্দ,
১৮ আগস্ট ২০২৩ইং
অন লাইন ডেক্সঃ

একদিকে যখন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলছে, ঠিক তখনই দেশের অভ্যন্তরে বিরাট সমস্যার মুখে পড়েছে ইউক্রেন। যে সেনাবাহিনী লড়াই করছে, তার নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে খবর সামনে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রতিটি অঞ্চলের নিয়োগ অফিসারকে বরখাস্ত করেছেন। সব মিলিয়ে ১১২টি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। অন্যদিকে শূন্যপদে সেনা অফিসারদের নিয়োগ করা হবে। যারা যুদ্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অথবা অঙ্গহানি হয়েছে। দেশের জন্য যারা লড়াই করেছেন, একমাত্র তাদেরই এখন ওই পদে বসার অধিকার আছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

এর আগেও সেনাবাহিনীর নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে আলোড়ন হয়েছিল ইউক্রেনে। সেনা পরিচালনায় দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছিল। গুরুত্বপূর্ণ সেনা অফিসারকে বরখাস্ত করেছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু এবার যে দুর্নীতির কথা সামনে এসেছে, তা আকার ও আয়তনে আগের সমস্ত অভিযোগের চেয়ে অনেক বড়। অভিযোগ, বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়োগ-অফিসারেরা অর্থের বিনিময়ে ভুয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট বিলি করেছেন। যে সার্টিফিকেট থাকলে যুদ্ধে অংশ নিতে হবে না। শুধু তা-ই নয়, অর্থের বিনিময়ে অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের কমব্য়াট ফোর্সে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।

এখানেই শেষ নয়, নিয়োগ-অফিসারেরা নিজেদের বাড়ি সেনার জওয়ানদের দিয়ে তৈরি করিয়েছেন বলে অভিযোগ। যুদ্ধের সময় জওয়ানদের ফ্রন্টে না পাঠিয়ে বাড়ির তৈরির কাজে লাগানো হয়েছে। এক অফিসার দুর্নীতির টাকায় পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামে দামি গাড়ি এবং স্পেনে বাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ।

বরখাস্ত করা অফিসারদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলেনস্কি জানিয়েছেন যারা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করছেন, তাদের প্রমাণ করতে হবে যে তারা নির্দোষ। তাদের ফ্রন্টলাইনে গিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে হবে।

সম্প্রতি সেনা নিয়োগের দফতরগুলোতে অডিট করানো হয়েছে। আর সেই অডিট থেকেই এই পরিমাণ দুর্নীতির ছবি সামনে এসেছে।

সূত্র: রয়টার্স

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *