শিশুদের প্রোগ্রামিংয়ে পরিচয় করিয়ে দিল মাইক্রোসফট
দিনবদল ডেক্স:বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিতব্য বেসিস সফট এক্সপো-২০১৭ তে ‘কোডিং ফর কিডস’শীর্ষক দুই ঘণ্টাব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ। কর্মশালাটি, বাংলাদেশের শিশুদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং- এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাইক্রোসফটের বৃহত্তর উদ্যোগেরই একটি অংশ। কর্মশালাটি দেশের সবকটি স্কুলের ১ম থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
কর্মশালায় মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির ছাড়াও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) আবদুর রব এবং এটুআই, প্রধান মন্ত্রী কার্যালয়ের স্থানীয় উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৮ম শ্রেণির ৪০০ জন শিক্ষার্থী কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণ করে। কর্মশালাটি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সাউথইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটস- এর ডেভলপার এক্সপেরিয়েন্স লিড ওয়েলিংটন পেরেরা। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন ইয়ুথ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মুনির হাসান। এই ৪০০ জন অংশগ্রহণকারীর প্রত্যেককেই মাইক্রোসফটের ব্র্যান্ড অ্যামবাসেডর হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক রুপান্তরের ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর তরুণ জনসংখ্যা রয়েছে। এ তরুণ প্রজন্মকে উপযুক্ত প্রযুক্তিগত দক্ষতায় দীক্ষিত করা গেলে তারা দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রযুক্তি-নির্ভর উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিণত করতে অবদান রাখতে পারবে। আর তাই আমরা দেশের প্রতিভাসম্পন্ন তরুণ প্রজন্মের ধারণাশক্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি নানারকম ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আজকের আয়োজনে শিশুদের অংশগ্রহণ দেখে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান সময়ের আধুনিক চিন্তাধারার অভিভাবকরা চান তাদের সন্তানরা যেনো উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য রাখে। এ সব বিবেচনায় আমি আশা করতে পারি যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে পরিণত হবে, আর এ পথচলায় দেশের সঙ্গে থাকতে পেরে মাইক্রোসফট গর্বিত।