রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত: বিএনপি

0

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জানিয়েছে বিএনপি।

২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দলটির পক্ষে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কির বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও আওয়ামী সুলভ যা বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে।

ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বলে দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ছিল না। বরং নির্বাচনের নামে এটি ছিল জাতির সঙ্গে একটি সহিংস প্রতারণা, যার উদ্দেশ্য ছিল সরকারের স্বার্থবাদী, কর্তৃত্ববাদী অনুগত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সহায়তা ও সমর্থনে কুক্ষিগত ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, ভোট ডাকাতির অভিনব সব পন্থা অবলম্বন করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে কলঙ্কিত ইতিহাস তৈরি করে তারই ধারাবাহিকতায় ডামি প্রার্থী, ডামি দল, ডামি ভোটার ও ডামি পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে ডামি নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে ২০২৪ সালে।

ভাগ-বাটোয়ারার এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার রক্ষাকবচ গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল জনগণ প্রমাণ করেছে, বিএনপি ও ৬২টি গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক তথা গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও উল্লেখ করেন, বস্তুত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ায় একটি নতুন ও অর্থবহ নির্বাচন আয়োজন আজ বাংলাদেশের জনগণের গণদাবি। সেই সর্বজনীন লক্ষ্য অর্জনে, গণতন্ত্রের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে, যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে, জনগণের লুণ্ঠিত ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার তথা নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে, চলমান এই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে প্রেরণা জোগাচ্ছে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন। এই বাস্তবতায়, বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের আকাঙ্ক্ষা অভিন্ন ও একসূত্রে গাঁথা। সেই অভিন্ন লক্ষ্য হলো, একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *