মানসম্মান রাখতে চাইলে আন্দোলন রেখে নির্বাচনে আসুন: কাদের

0

০৪ শ্রাবন ১৪৩০বঙ্গাব্দ,
১৯ জুলাই ২০২৩ইং
ফারহানা আফরোজ রুনাঃ

নিজেদের দলের ‘মানসম্মান ধরে রাখতে চাইলে’ আন্দোলন রেখে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

১৯ জুলাই বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিকে এই আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের বলব- মানসম্মান রাখতে চাইলে আন্দোলন রেখে নির্বাচনে আসুন। গতবার তো পাইছেন সাতটা। এইবার কি হবে আল্লাহ জানে! বিএনপির ভোট আছে? আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, সারা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া-সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন। সারা বাংলায় স্লোগান একটা- শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ।

কাদের বলেন, জনতার ঢল দেখতে চান, বিএনপি নেতাদের বলি সাত রাস্তায় আসুন। জনতার ঢল কাকে বলে দেখে যান। শুধু মানুষ আর মানুষ। লক্ষ লোকের সমাবেশ। এক অভূতপূর্ব বিস্ময়। বাংলাদেশের মানুষ কি চায়? কাকে চায়? শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসল খবর হচ্ছে বিএনপির নেতারা আশার মালা গেঁথে ঘর বুনেছে। কখন আসবে উজরা জেয়া, কখন আসবে ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা। আশার মালা গেঁথে বসে ছিল। ইউরোপ এলো, এখনো যায়নি, যায় যায়। আমেরিয়া এসে চলে গেল। বিএনপি তাদের মুখে যা শুনতে চেয়েছিল! এখন চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতাদের আমেরিকা বলে গেছে, বাংলাদেশের নিয়ম, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ইউরোপ ও বলেছে, আমেরিকাও বলেছে। বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মানুষের শক্তি যখন কমে যায়, তখন চোখে-মুখে থাকে বিষ। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে হবে- সেটাই তাদের জ্বালা। এমনিতেই পদ্মা সেতুর জ্বালা। হায়রে জ্বালা। মেট্রোরেল তাদের সহ্য হয় না। হায়রে জ্বালা! অন্তর জ্বালা! অন্তর জ্বালায় মরে কে? বিএনপি।

কাদের বলেন, পদযাত্রা করতে গিয়ে বাঙলা কলেজে হামলা করে, খাগড়াছড়িতে হামলা করে, বগুড়ায় স্কুলের ছাত্রলীগের হামলা করে, ককটেল মারে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা মাথা গরম করবেন না। ওরা পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে চায়। আমরা শান্তি চাই। শান্তি যত থাকবে, আমাদের ভোট তত বাড়বে। মাথা গরম করো না। এই যে তরুণ-তুর্কিরা, হুট করে মাথা গরম!
আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, খেলা হবে ডিসেম্বরে। তৈরি হয়ে যান। আজকে বিএনপির নেতারা, জনগণের শক্তি একদিকে, আরেকদিকে সন্ত্রাস আর অস্ত্র। রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে না আসলে- সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিতে আসবেন, আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এক দফা, এক দাবি ভুয়া। ২৭ দফা ভুয়া। ৫৪ দল ভুয়া। বিএনপির জোট ভুয়া। বাংলার জনগণ বিএনপির ভুয়া রাজনীতি চায় না।

সমাবেশে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। জানান, অক্টোবরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হবে। চট্টগ্রামবাসী পাবেন টানেল।
আগামী মাসে একদিনে আরও একশ’ সেতু উদ্বোধন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ঘুম নাই, কিভাবে ঠেকাবে এত উন্নয়ন?’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল, সদ্য নির্বাচিত ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *