মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়েছে
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/03/untitled-10_279370.jpg)
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/03/untitled-10_279370.jpg)
দিনবদল ডেক্স: দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে আরও একটি ইতিবাচক খবর এলো। মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়েছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৩৯তম, যা আগে ছিল ১৪০তম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, গড় আয়ু, মাথাপিছু আয়, জেন্ডার সমতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির কারণে বাংলাদেশ এ সূচকে এগিয়েছে। এর বাইরে সরকারের
সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি ও পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা দিতে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম মানব উন্নয়ন সূচকে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। যদিও দক্ষ প্রসূতি ব্যবস্থার অভাব এবং বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক দুর্বলতাগুলো রয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউএনডিপি মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৬ প্রকাশ করে, যেখানে সর্বশেষ ২০১৫ সালের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম হচ্ছে ‘সবার জন্য মানব উন্নয়ন’। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লোভেন, ইউএনডিপির প্রশাসক হেলেন ক্লার্ক এবং প্রতিবেদনের প্রধান প্রণেতা সেলিম জাহান প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। প্রতিবেদনে ১৯৯০ থেকে ২০১৫ এই ২৫ বছরে বিশ্বব্যাপী মানব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, মানব উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও সমাজে ব্যাপক সংখ্যক সুবিধাবঞ্চিত মানুষ রয়ে গেছে। নতুন বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
এবারের প্রতিবেদনে মানব উন্নয়ন সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে। এরপর শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও ডেনমার্ক। দক্ষিণ এশিয়ায় এই সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে শ্রীলংকা। দেশটির অবস্থান ৭৩। ভারতের অবস্থান ১৩১। পাকিস্তানের অবস্থান ১৪৭। নেপাল ১৪৪, মিয়ানমার ১৪৫ ও আফগানিস্তান ১৬৯তম অবস্থানে রয়েছে।
মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৫৭৯ পয়েন্ট পেয়েছে। আগের বছর এই পয়েন্ট ছিল শূন্য দশমিক ৫৭৫। বাংলাদেশের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ বছর। আগের বছর ছিল ৭১ দশমিক ৬ বছর। ভারত সার্বিক সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও দেশটির গড় আয়ু বাংলাদেশের তুলনায় কম। ভারতের গড় আয়ু ৬৮ দশমিক ৩ বছর। ক্রয় ক্ষমতার সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশে মাথাপিছু জাতীয় আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩৪১ মার্কিন ডলার, যা আগের বছর ছিল ৩ হাজার ১১৯।
প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচি দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র্য লোকদের কাছে আর্থিক সেবা পেঁৗছে দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসিড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন কার্যকর করায় বাংলাদেশের এসিড আক্রমণের ঘটনা অনেক কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, ২০০২ সালে বাংলাদেশে এসিড আক্রমণের ৪৯৪টি ঘটনা ঘটে। ২০১৫ এই ঘটনা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯ টিতে। তবে অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও পেছনে রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এখনও ৪৪ শতাংশ শিশু দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে না। এতে শিশুদের জন্মকালীন ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এখনও ব্যাপক আকারে বাল্য বিবাহ রয়েছে। একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে। ভারতের ক্ষেত্রে এ হার ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ সমকালকে বলেন, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আর্থিক, সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ উন্নতি করে আসছে। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক আয়ে উন্নতি উল্লেখযোগ্য। তারই প্রতিফলন হচ্ছে মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি। তবে এর অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশ সব অর্জন করে ফেলেছে। অর্জনের দিকে এগোচ্ছে; কিন্তু প্রত্যেকটি সূচকেই সন্তোষজনক উন্নতির জন্য পরিকল্পনা দরকার।
জেন্ডার সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের হার ২০ শতাংশ, যা ভারতে ১২ শতাংশ। জেন্ডার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৯তম, যেখানে ভারতের অবস্থান ১২৫ এবং পাকিস্তানের ১৩০তম। বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু অনুপাত (প্রতি লাখে) ১৭৬ জন। ভারতে ১৭৪ আর পাকিস্তানে ১৭৮ জন। অবশ্য বাংলাদেশে কিশোরী মাতার সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশে প্রতি হাজার সন্তান জন্মদানকারী মায়ের মধ্যে ৮৩ জনই ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী নারী।
এই প্রতিবেদনে কিছু পরিপূরক সূচক দেওয়া হয়েছে। যেখানে জীবনযাপন সম্পর্কে মানুষের ধারণা স্থান পেয়েছে। বলা হয়েছে, ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি তাদের জীবনযাপনের মান নিয়ে সন্তুষ্ট। স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ট ৬১ ভাগ। শিক্ষার মান নিয়ে সন্তুষ্ট ৮৫ শতাংশ। এসবের ফলে সামগ্রিকভাবে জীবনযাপনে সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর ৪ দশমিক ৬। ১ থেকে ১০ মাত্রার স্কেল বিবেচনায় নিয়ে এই স্কোর করা হয়েছে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখাপড়া করেছে বাংলাদেশে এ ধরনের নারীর হার ৪২ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার ৪৪ শতাংশ। নারী শিক্ষার উন্নয়নে এনজিওদের বিশেষত ব্র্যাকের ভূমিকা প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। শ্রম শক্তিতে নারীর অংশ ৪৩ শতাংশ, পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার ৮১ শতাংশ। গড় শিক্ষা বছর ১০ দশমিক ২ বছর, যা আগে ছিল ১০ বছর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মাত্রার অপুষ্টি রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ চরম দরিদ্র। এর মধ্যে প্রায় ৮০ কোটি মানুষই থাকে দক্ষিণ এশিয়ায়। আর ৩৪ শতাংশ বাস করে আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলে। অবশিষ্ট ২ শতাংশ বাকি দুনিয়ায় বসবাস করছে। –
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে আরও একটি ইতিবাচক খবর এলো। মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়েছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৩৯তম, যা আগে ছিল ১৪০তম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, গড় আয়ু, মাথাপিছু আয়, জেন্ডার সমতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির কারণে বাংলাদেশ এ সূচকে এগিয়েছে। এর বাইরে সরকারের
সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি ও পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা দিতে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম মানব উন্নয়ন সূচকে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। যদিও দক্ষ প্রসূতি ব্যবস্থার অভাব এবং বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক দুর্বলতাগুলো রয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউএনডিপি মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৬ প্রকাশ করে, যেখানে সর্বশেষ ২০১৫ সালের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম হচ্ছে ‘সবার জন্য মানব উন্নয়ন’। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লোভেন, ইউএনডিপির প্রশাসক হেলেন ক্লার্ক এবং প্রতিবেদনের প্রধান প্রণেতা সেলিম জাহান প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। প্রতিবেদনে ১৯৯০ থেকে ২০১৫ এই ২৫ বছরে বিশ্বব্যাপী মানব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, মানব উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও সমাজে ব্যাপক সংখ্যক সুবিধাবঞ্চিত মানুষ রয়ে গেছে। নতুন বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
এবারের প্রতিবেদনে মানব উন্নয়ন সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে। এরপর শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও ডেনমার্ক। দক্ষিণ এশিয়ায় এই সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে শ্রীলংকা। দেশটির অবস্থান ৭৩। ভারতের অবস্থান ১৩১। পাকিস্তানের অবস্থান ১৪৭। নেপাল ১৪৪, মিয়ানমার ১৪৫ ও আফগানিস্তান ১৬৯তম অবস্থানে রয়েছে।
মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৫৭৯ পয়েন্ট পেয়েছে। আগের বছর এই পয়েন্ট ছিল শূন্য দশমিক ৫৭৫। বাংলাদেশের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ বছর। আগের বছর ছিল ৭১ দশমিক ৬ বছর। ভারত সার্বিক সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও দেশটির গড় আয়ু বাংলাদেশের তুলনায় কম। ভারতের গড় আয়ু ৬৮ দশমিক ৩ বছর। ক্রয় ক্ষমতার সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশে মাথাপিছু জাতীয় আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩৪১ মার্কিন ডলার, যা আগের বছর ছিল ৩ হাজার ১১৯।
প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচি দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র্য লোকদের কাছে আর্থিক সেবা পেঁৗছে দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসিড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন কার্যকর করায় বাংলাদেশের এসিড আক্রমণের ঘটনা অনেক কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, ২০০২ সালে বাংলাদেশে এসিড আক্রমণের ৪৯৪টি ঘটনা ঘটে। ২০১৫ এই ঘটনা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯ টিতে। তবে অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও পেছনে রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এখনও ৪৪ শতাংশ শিশু দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে না। এতে শিশুদের জন্মকালীন ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এখনও ব্যাপক আকারে বাল্য বিবাহ রয়েছে। একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে। ভারতের ক্ষেত্রে এ হার ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ সমকালকে বলেন, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আর্থিক, সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ উন্নতি করে আসছে। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক আয়ে উন্নতি উল্লেখযোগ্য। তারই প্রতিফলন হচ্ছে মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি। তবে এর অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশ সব অর্জন করে ফেলেছে। অর্জনের দিকে এগোচ্ছে; কিন্তু প্রত্যেকটি সূচকেই সন্তোষজনক উন্নতির জন্য পরিকল্পনা দরকার।
জেন্ডার সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের হার ২০ শতাংশ, যা ভারতে ১২ শতাংশ। জেন্ডার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৯তম, যেখানে ভারতের অবস্থান ১২৫ এবং পাকিস্তানের ১৩০তম। বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু অনুপাত (প্রতি লাখে) ১৭৬ জন। ভারতে ১৭৪ আর পাকিস্তানে ১৭৮ জন। অবশ্য বাংলাদেশে কিশোরী মাতার সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশে প্রতি হাজার সন্তান জন্মদানকারী মায়ের মধ্যে ৮৩ জনই ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী নারী।
এই প্রতিবেদনে কিছু পরিপূরক সূচক দেওয়া হয়েছে। যেখানে জীবনযাপন সম্পর্কে মানুষের ধারণা স্থান পেয়েছে। বলা হয়েছে, ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি তাদের জীবনযাপনের মান নিয়ে সন্তুষ্ট। স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ট ৬১ ভাগ। শিক্ষার মান নিয়ে সন্তুষ্ট ৮৫ শতাংশ। এসবের ফলে সামগ্রিকভাবে জীবনযাপনে সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর ৪ দশমিক ৬। ১ থেকে ১০ মাত্রার স্কেল বিবেচনায় নিয়ে এই স্কোর করা হয়েছে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখাপড়া করেছে বাংলাদেশে এ ধরনের নারীর হার ৪২ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার ৪৪ শতাংশ। নারী শিক্ষার উন্নয়নে এনজিওদের বিশেষত ব্র্যাকের ভূমিকা প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। শ্রম শক্তিতে নারীর অংশ ৪৩ শতাংশ, পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার ৮১ শতাংশ। গড় শিক্ষা বছর ১০ দশমিক ২ বছর, যা আগে ছিল ১০ বছর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মাত্রার অপুষ্টি রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ চরম দরিদ্র। এর মধ্যে প্রায় ৮০ কোটি মানুষই থাকে দক্ষিণ এশিয়ায়। আর ৩৪ শতাংশ বাস করে আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলে। অবশিষ্ট ২ শতাংশ বাকি দুনিয়ায় বসবাস করছে।