ময়মনসিংহে কোকা-কোলা কারখানার উদ্ভোধন করলেন অর্থমন্ত্রী
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/01/coca-cola20170119012618.jpg)
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/01/coca-cola20170119012618.jpg)
দিনবদল ডেক্স: বাংলাদেশে কোকা-কোলা কোম্পানির পণ্য তৈরি ও বোতলজাতকরণের কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে। ময়মনসিংহের ভালুকায় কোকা-কোলা কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেডের এ কারখানাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার, গ্রাহক ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ দেশে কোম্পানির ৭৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অংশ হিসেবে কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশে ফাস্ট-মুভিং কনজ্যুমার গুডস খাতে গত ২০ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)। নতুন এই কারখানা স্থাপনে ৬০ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। আর বাকি ১৪ মিলিয়ন বা এক কোটি ৪০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা হবে অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং পণ্য বিপণন ও বিপণন সংক্রান্ত কার্যক্রমে।
প্রাথমিকভাবে এই কারখানায় দুই ধরনের পণ্য উৎপাদন হবে। পণ্যগুলো হচ্ছে- কোকা-কোলা, ফানটা ও স্প্রাইট এবং কিনলে পানি। এতে সরাসরি দেড় শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বর্তমান বিশ্বে কোকা-কোলা একটি জনপ্রিয় ব্রান্ড। আমি বরাবরই কোকা-কোলার ভক্ত এবং তা শুরু হয় ১৯৬৩/৬৪ সাল থেকে যখন আমি বিদেশে ছিলাম।
প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, কোকা-কোলা মানসম্পন্ন পণ্য তৈরিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তাই আমার বিশ্বাস তাদের এই মহান উদ্যোগ তাদের আরও দ্রুততার সহিত সাফল্য বয়ে আনবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বলেন, এই কারখানায় উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন লোকের পাশাপাশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া ব্যক্তিরাও কাজের সুযোগ পাবেন।
কোকা-কোলার প্যাসিফিক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জন মারফি বলেন, নানা কারণেই বাংলাদেশে এই কারখানা স্থাপন ও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ কারণ হলো ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণের ইতিবাচক মনোভাব এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন জনবলের সহজলভ্যতা। বাংলাদেশের বর্তমান ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারায় একটি অপরিহার্য অংশ হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।