ভারতের সাথে বন্ধুত্বে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে লাভ নেই: কাদের
দিনবদল নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক সময়ের বক্তব্যের সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বহু বছরের অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন। তখন থেকে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। এই বন্ধুত্ব থাকবে। এই বন্ধুত্বে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই। এই বন্ধুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের স্বার্থে, ক্ষমতার জন্য নয়।’
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও ভারত যাননি, যাবেন এপ্রিলে। তার আগেই গোপন চুক্তির গন্ধ নিয়ে ভাঙা রেকর্ড বাজাতে শুরু করেছে বিএনপি। দেখুন আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। জনগণই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসাতে পারে, অন্য কোনো বিদেশি শক্তি নয়।’
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু, বাংলাদেশের স্বার্থে এই বন্ধুত্ব থাকবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কটা ইতিবাচক গঠনমূলক। কোনো চুক্তি হলে জাতীয় স্বার্থেই হবে। জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে শেখ হাসিনা জীবন থাকতে কোনো দিন কারও সঙ্গে কোনো চুক্তি করবেন না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি যখন জিতে যান পরদিন ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস খোলার আগেই দরজার সামনে বিএনপি নেতারা ফুল আর মিষ্টি নিয়ে হাজির হন। বিএনপি কেন এই কাজটা করল নরেন্দ্র মোদি এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে?’
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দেড় বছর বাকি আছে। বিএনপিকে বলব, এসব নালিশের ভাঙা রেকর্ড বিদেশিদের দুয়ারে ধরনা দেয়া বন্ধ করুন। তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। গাধা জল খায় ঘোলা করে। বিএনপিও পানিটা ঘোলা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে।’
পাঁচ সিটি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে যদি নির্বাচন সুষ্ঠু না হয়, তাহলে পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিএনপি জিতলো কীভাবে। সর্বশেষ ১৮টি উপজেলায় বিএনপি জিতেছে। আমরা তো বাধা দেইনি। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন মডেল নির্বাচন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে নারায়ণগঞ্জের মতো মডেল নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’
জাতীয় শ্রমিক লীগের কমিটি পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অক্টোবর পর্যন্ত সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা একটা স্মার্ট ও আধুনিক আওয়ামী লীগ নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চাই, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমরা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকে হালকাভাবে দেখতে চাই না। এটা মাথায় রেখেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে চাই।’
জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহামুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।