বিএনপির পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারই মামলা করেছিল: তথ্যমন্ত্রী
১৯শ্রাবন ১৪৩০বঙ্গাব্দ,
০৩ আগস্ট ২০২৩ইং
সচিবালয় প্রতিনিধিঃ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার কোনো মামলা করেনি। বিএনপির পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারই মামলা করেছিল। আমাদের সরকার প্রতিহিংসা পরায়ণ হলে আমরা মামলা করতাম, আর রায়ের জন্য ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে।’
০৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রায়ের সাথে সাথে বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজকে এবং আগামীকালও তাদের কর্মসূচি আছে। অথচ এই মামলা হয়েছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, যখন ইয়াজউদ্দিন সাহেবকে বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। আর বিশ্বব্যাংকে কর্মরত ফখরুদ্দীন সাহেবকে ধরে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছিল। আর সেই সেনাসমর্থিত সরকারের সেনাবাহিনীর প্রধান বানানো হয়েছিল ৭ জনকে ডিঙ্গিয়ে। অর্থাৎ বিএনপির পছন্দের মানুষেরাই যখন ক্ষমতায়, তখন এই মামলা দায়ের হয়েছিল, সেই মামলায় তাদের শাস্তি হয়েছে।
রায় নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন-আদালত কোনো কিছুর ওপরই তো বিএনপির কোনো আস্থা নেই, কোনো কিছুকে তারা তোয়াক্কা করে না, শুধু ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে যায়। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, বিদেশিরা প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসে।’
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’
বুধবার রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভা প্রকৃত অর্থে স্মরণকালের বিশাল জনসমুদ্রের রূপ নিয়েছিল। এতেই প্রমাণিত হয় দেশের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কতটুকু ভালোবাসে, এতেই প্রমাণিত হয় জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ওপর দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন আছে।’