বাসাকফা’র উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সম্মাননা প্রদান

0

বিশেষ প্রতিনিধি: ৭ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে “স্বাধীনতা দিবস ও আমাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা ও মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোঃ সাইফুল হাসিব, মহাপরিচালক (অতিঃ সচিব), বিএসটিআই, সংগঠনের সভাপতি সেলিম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সচিব (যুগ্ম সচিব), বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, তথ্য মন্ত্রণালয়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বীরাঙ্গনা আছমা বেগম, আবুল কালাম অনু, কাউন্সিলার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, নাসরিন রশিদ পুতুল, কাউন্সিলার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, আশরাফ সরকার, সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক একুশের বাণী, শেখ বোরহান উদ্দিন বাবু, উপ-দপ্তর সম্পাদক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, জাকির হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংগঠক, শওকত সাদী, কবি ও সাহিত্যিক, এস এম জসীম উদ্দিন, চেয়ারম্যান জসীম ফাউন্ডেশন, মনজুর হোসেন ইসা, মহাসচিব বাংলাদেশ জাতীয় মানবধিকার সমিতি।

DSC_0307

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা আমেনা বেগম মিনা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন দরবেশ।

প্রধান অতিথি মো: সাইফুল হাসিব তার বক্তব্যে বলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও প্রায় দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তার আদর্শ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। অচিরেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে ।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন আমি আশাকরি আমাদের দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের যুব সমাজকে জননেত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যেতে হবে।

প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (যুগ্ম সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা সার্বিক ভাবে অনেক শক্তিশালী, তারা ছন্দবেশে এখনও দেশ বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে ।

তিনি বলেন, সবাই যার যার অবস্থান থেকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব । পরিশেষে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ বোরহান উদ্দিন বাবু বলেন, আমার পূববতী বক্তা বলে গেছেন স্বাধীনতার স্বাদ আমরা একটু একটু করে গ্রহণ করতে শুরু করেছি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীনতা যদি না থাকত তাহলে আজ আপনি জসিম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হতে পারতেন না, আমিও আজ যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হতে পারতাম না। স্বাধীনতা অবশ্যই আছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা যুবসমাজ যদি জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করি তাহলে অচিরেই আমাদের দেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তাই সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগীতার হস্ত প্রসারিত করতে বলেন। তাহলেই আমরা পাব একটি সুখী সমৃদ্ধ সুন্দর দেশ। যা বিশ্বে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

কবি ও কথা সাহিত্যিক শওকত সাদী বলেন, আমি আজ ধন্য এ মহতি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে । তিনি বলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ গ্রহণ করছে তা খুবই একটি ভালো উদ্যোগ। যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে আমাদের দেশকে স্বাধীন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদেরকে সম্মাননা প্রদান করাটা অত্যন্ত ভাগ্যের ব্যাপার। তাই তিনি বাসাকফাকে আবারও ধন্যবাদ জানান। প্রয়োজনে তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পাশে থাকবেন বলে জানান।

জসিম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস এম জসীম উদ্দীন বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারি নাই। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন তা আজ তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর হস্তক্ষেপে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তবে এ ব্যাপারে আমাদের সকলকে সহযোগীতার হস্ত প্রসারিত করতে বলেন। তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহতি এ অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।

পরিশেষে সংগঠনের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন একটি আরাজনৈতিক তবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে। তিনি আরও বলেন, আমি এখন সভাপতি আগামী দিনে হয়তো সভাপতি থাকব না। বাকাসফা আজীবন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

unnamed

সভায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে আট জনকে স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়, বীরাঙ্গনা আছমা বেগম, বীরাঙ্গনা মৃত মমতাজ বেগম, মুক্তিযোদ্ধা শ্রী সুকুমার দত্ত, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আমেনা বেগম, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন, প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ মো: শাহাজাদা ও কণ্ঠশিল্পী শেফালী আক্তার।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *