বর্তমান সরকারের আমলেই ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে: অর্থমন্ত্রী

0

32986caaaa65f2ae822fd7295380be93-57566a914e3b6
দিনবদল ডেক্স: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে যেন নতুন সরকার এটি বাস্তবায়ন করতে পারে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের বিরোধিতা করে এলেও অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এই কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন নেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর বেশ উন্নত, কিছু দুর্বলতাও হয়তো আছে। অনেকেই বলেন, একটা ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা দরকার। আমি এতদিন পর্যন্ত সেই ধারণা গ্রহণ করিনি। তবে আইন-কানুন, রীতিনীতি ইত্যাদি দেখার জন্য একটা ব্যাংকিং কমিশন দরকার।’

কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিলেও এর বাস্তবায়নের ভার পরবর্তী সরকারের জন্যই রেখে যেতে চান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং কমিশনের দরকার, কিন্তু সেটার সময় এখনও হয়নি। সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে বিষয়টা চিন্তা করতে পারি। কমিশনের ধারণা আগামী সরকারের জন্য রেখে যেতে পারি। তারা এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে।’

সোনালী ব্যাংক কিছুদিন আগেও সরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ছিল উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অধুনা এই অবস্থান থেকে একটু পেছনে পড়ে গেছে ব্যাংকটি। সাময়িক এই অবস্থা থেকে দ্রুতই তারা আগের অবস্থান দখল করবে বলে আমার বিশ্বাস।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন সূচক দেখে আশান্বিত হওয়ার সুযোগ নেই। মূলধন ঘাটতি সব ব্যাংকের মধ্য সবচেয়ে বেশি। শ্রেণিকৃত ঋণ এক-চতুর্থাংশের বেশি। লোকসানি শাখাও এক-চতুর্থাংশের মতো। এসব সূচক খুব বেশি আশার সঞ্চার করে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি তাদের টার্গেট দিয়েছি— আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাংক হতে হবে। এটা বড় চ্যালেঞ্জ, সোনালী ব্যাংকের এটা গ্রহণ করা উচিত। বৃহত্তম সরকারি ব্যাংক হিসেবে বাজারে সোনালী ব্যাংকের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এটা যেকোনও ব্যাংকের জন্য মূলধনস্বরূপ। এর ওপর ভিত্তি করেই এগিয়ে যেতে হবে।’

দেশের সাধারণ মানুষের ওপর সবাইকে আস্থাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ওপর বিশ্বাস থাকলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব, অনেক কৃতিত্ব দেখাতে পারব। সেই কৃতিত্ব দেখানোর একটা সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে ব্যাংকিং সেক্টরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টরের প্রগতিকে ধরে রাখতে এই খাতকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা আমরা আমাদের এই মেয়াদেই গ্রহণ করব। সেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়বে পরবর্তী সরকারের হাতে।’

সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *