বরখাস্ত করবেন ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের
দিনবদল ডেক্স: শপথ নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে দেয়া ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে যার বেশিরভাগেরই মিল নেই। দেশটির প্রবীণ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য তার সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপের অঙ্গীকার করা হলেও শপথ নেয়ার কিছুক্ষণ পরই সেই অঙ্গীকারের উল্টো চিত্র দেখা গেছে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে।
ওয়েবসাইটের প্রবীণ সেনা কর্মকর্তাদের পেইজে লেখা হয়েছে, অযোগ্য এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্তের মাধ্যমে আমাদের সংস্কার শুরু হবে। এই পেইজের শিরোনাম করা হয়েছে ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে আবারো শক্তিশালী করা হবে।’
নির্বাচনের আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো সংস্থার চেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে ছিল দেশটির দ্য ডিপার্টমেন্ট অব ভেটেরানস অ্যাফেয়ার্স। এই ডিপার্টমেন্টের অনেক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছেন ট্রাম্প।
শপথ নেয়ার পরপরই প্রথম বিলে সাক্ষর করেছেন মার্কিন এ ধনকুবের। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নিয়োগের পথ নিশ্চিত করা হয়। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে কংগ্রেসে ট্রাম্পের সাক্ষর করা একটি বিল পাস হয়। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জেনারেল জেমস ম্যাটিসকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয় বিলে।
ম্যাটিসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিলটি সিনেটে আজ আরো পরের দিকে উঠবে। সেখানে অনুমোদন পেলেই ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
এদিকে ট্রাম্পের অভিষেক বক্তৃতার কয়েক মিনিট পর হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট থেকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সব তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে।
এর আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শপথ বাক্য পাঠ করান। ট্রাম্পের হাতে ছিল আব্রাহাম লিংকনের বাইবেল। এ সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন স্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।
পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিচারপতি ক্লেরেন্স টমাস। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের বাইবেল হাতে নিয়ে শপথ পড়েছেন পেন্স।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে বাইবেলে হাত রেখে প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেন মার্কিন এ ধনকুবের। শপথের পরে ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘এই দিনটি আপনাদের। এই বিজয় আপনাদের, যুক্তরাষ্ট্রের।’ তিনি বলেছেন, ‘আমি আপনাদের জন্য লড়াই করবো; শরীরের প্রত্যেকটি নিঃশ্বাসের সঙ্গে। এবং কখনোই নিরাশ করবো না।’
ট্রাম্প ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা দুটি সহজ নিয়ম অনুসরণ করবো। তিনি বলেন, ‘মার্কিন পণ্য কিনো ও মার্কিনিদের চাকরি দাও।’ ১৯৭৭ সালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের পর এই প্রথম সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত (১৪৫৩ শব্দের) ভাষণ দিয়েছেন ট্রাম্প। এর মূল ও সংক্ষিপ্ত স্লোগান ছিল আমেরিকাই প্রথম। সবার আগে আমেরিকা।