বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/01/al_36320_1484038487.jpg)
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/01/al_36320_1484038487.jpg)
বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের জন্মদাতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে থাকা মিছিলের আনন্দ উল্লাস দেখে মনে হচ্ছে যেন বঙ্গবন্ধু এখনও বেঁচে আছেন। আসলেই বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন ষোল কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে। যা কোনদিন মুছে ফেলার নয়।
আজ মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এদিকে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচিতে বেলা ১২টা থেকে ঢাকার বিভিন্ন শাখা ও আশপাশের জেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন।
ইতিমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাস্থল পূর্ণ হয়ে গেছে। উদ্যানের বাইরেও নেতাকর্মীরা ভীড় করে আছেন। এছাড়া শাহবাগ, দোয়েল চত্বরসহ আশাপাশের বিভিন্ন মোড়গুলোতেও নেতাকর্মীদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
আওয়ামী লীগের এ জনসভা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আশপাশের এলাকায়। রাজধানীতে যান চলাচলেও দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশে মহান এই নেতার প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করা হয়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্ব নেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডন-দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
এ দিবসে উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। সকাল সাড়ে ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন এবং সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।