বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সরানোর প্রশ্নই ওঠে না, করলে কঠোর ব্যবস্থা : মমতা বন্দ্যোপধ্যায়

0

_95249106_42fcc0a8-7756-4b8c-999d-51775fb10a5f

দিনবদল ডেক্স: ভারতের কলকতার মাওলানা আজাদ কলেজের বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য সরানো হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়।

তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের দুই বাংলার প্রেরণা। তার ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য সরানো দাবি করে সে রাজ্যের উগ্রবাদী সংগঠনগুলো।

image-70901-1490262877

গত ১৭ মার্চ কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্‌যাপন করে। কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশন বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্‌যাপনের পর ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে ভাস্কর্যের স্বীকৃতি নেই। হোস্টেলের ভেতর কোনো ইসলামবিরোধী কাঠামো গড়া অন্যায়।’

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘ঐতিহ্যের কোনো ইজারা হয় না। বঙ্গবন্ধু দুই বাংলার কাছেই শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা। তার স্মৃতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করাই আমাদের কর্তব্য। এর কোনো রকম বিরোধিতা বরদাশত করা হবে না। কেউ প্রতিরোধ তৈরি করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সরকারি ছাত্রাবাস হিসেবে বেকার হোস্টেল ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় কলকাতার তালতলায় এই বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৬ সালে কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি। ইসলামিয়া কলেজের নাম পাল্টে এখন নামকরণ করা হয়েছে মাওলানা আজাদ কলেজ।

এই স্মৃতিকক্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *