প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই মাটির স্বাস্থ্য জানুন
দিনবদল ডেক্স: ফসল উৎপাদনের জন্য মাটি প্রস্তুত করা, কোন ফসল বুনলে অধিক ফলন পাওয়া যায় ও ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য কোন সার দিতে হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো জানা খুব জরুরি। মাটির স্বাস্থ্য জেনে ফসল বুনতে হবে। এজন্য মাটি নিয়ে পরীক্ষাগারে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, তা আপনি যে অঞ্চলের বাসিন্দাই হোন না কেন। এমনকি বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা হলেও ঘরে বসেই জানতে পারেন মাটির স্বাস্থ্য।
এজন্য শুধু কষ্ট করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে www.srdi.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা ফোল্ডারের অনলাইন সার সুপারিশে ক্লিক করতে হবে। সেখানে কৃষকের নাম, জেলা, উপজেলা ও গ্রামের নাম, জমির প্রকৃতি, ফসলের ক্যাটাগরি ও জমির পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য দিয়ে সাবমিট করলেই পাওয়া যাবে কাঙ্খিত পরামর্শ। চাইলে আপনি সরাসরি www.frs-bd.com এই ওয়েব সাইটে লগইন করে একই সেবা পেতে পারেন।
এ ছাড়া মাটির স্বাস্থ্য জানতে সরাসরি বাংলালিংকের মাধ্যমে ৭৬৭৬ নম্বরে ফোন করেও সেবা পেতে পারেন।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট দিচ্ছে এই সেবা। উন্নয়ন মেলা ২০১৭-তে অংশ নেওয়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্টলে এসব প্রযুক্তি বিষয়ে নানা তথ্য জানতে পারছেন উপস্থিত দর্শনার্থীরা।
এ বিষয়ে কথা হয় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সিনিয়র কার্টোগ্রাফার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাটির স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি জরিপ কাজ শেষ করা হয়েছে। আমাদের ডাটাবেজে বাংলাদেশর সব অঞ্চলের মাটি পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া রয়েছে। এখন ঘরে বসেই আমরা বলে দিতে পারব আপনার জমির মাটির স্বাস্থ্য ও সার দেওয়ার পরামর্শ। ২০১৫ সাল থেকে আমরা এই সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষক পর্যায় থেকেও ভালো সাড়া পাচ্ছি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবেও কৃষি বিভাগ ডিজিটাল হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সব জেলা ও উপজেলার কৃষি অফিস থেকে মাটি পরীক্ষা, ভেজাল সারবিষয়ক প্রাথমিক জ্ঞান, ফসলের নানা সমস্যা ইত্যাদি সেবা পাওয়া যাবে।
‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ এই স্লোগান নিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলায় চলছে উন্নয়ন মেলা ২০১৭। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে কেন্দ্র করে গত ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই উন্নয়ন মেলার আজ শেষ দিন।
রাজধানীতে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী ঢাকা জেলা প্রশাসন এ মেলা আয়োজন করেছে। মেলা প্রাঙ্গণকে নয়টি ব্লকে ভাগ করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ৮৮টি প্রতিষ্ঠানের স্টল রাখা হয়েছে।
মেলায় প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পৃথক স্টল রাখা হয়েছে। বুধবার মেলার তৃতীয় ও শেষ দিনেও দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। তবে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় একটু বেশি।
উন্নয়ন মেলায় কোনো রকম টিকিট ছাড়াই সর্বসাধারণের জন্য সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। বর্তমান সরকারের সময় নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে দেশের প্রান্তিক জনগণসহ আপামর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে এ উন্নয়ন মেলা।
সোমবার বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে উন্নয়ন মেলার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক সারা দেশে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা আয়োজন করে সরকার।