পার্বত্য এলাকায় হবে ৩ স্থলবন্দর
দিনবদল ডেক্স: বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণ করবে সরকার।
এ ছাড়া পার্বত্যাঞ্চলের কয়েকটি নদী খননের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে—কাচা লং, মাইনি, ইছামতি, কর্ণফুলি, চেংনি, মাতামহুরি, সাঙ্গু, ফেনী ও হালদা।
রোববার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার নদীর সীমানা নির্ধারণ, নাব্যতা বৃদ্ধি এবং স্থলবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।
নতুন স্থলবন্দরগুলো হচ্ছে: রাঙ্গামাটির বরকলের তেগামুখ স্থলবন্দর। এটি রাঙ্গামাটি জেলা হতে ১৫০ কিলোমিটার দূরে। এই বন্দরের সঙ্গে ভারতের দেমাগ্রী, মিজোরাম শুল্ক বন্দর সংযুক্ত হবে। বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমঘুম ইউনিয়নে হবে আরেকটি স্থলবন্দর। বন্দরটির উত্তরে লামা ও আলিকদম উপজেলা, দক্ষিণ ও পূর্বে মিয়ানমার অবস্থিত। এ ছাড়া খাগড়াছড়িতে নির্মাণ করা হবে রামগড় স্থলবন্দর। এটি ভারতের সাবরুম ও দক্ষিণ ত্রিপুরা অংশে সংযুক্ত হবে।
নৌ মন্ত্রী বলেন, ‘বন্দরগুলোর কার্যক্রম পুরোদমে চালু হলে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।’
নদী খনন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে এবারই প্রথম কোনো সরকার পার্বত্য জেলা নদী খননের উদ্যোগ নিল। এর ফলে ওই এলাকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনি তারা ব্যবসা-বাণিজ্যেও বড় অবদান রাখতে পারবে।’
সভায় অন্যন্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কামালউদ্দিন তালুকদার, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।