নজরুলের গান শুনিয়ে নতুনদের মনন তৈরি করতে হবে: সুজিত মোস্তফা, নন্দিত কণ্ঠশিল্পী
সুজিত মোস্তফা। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী। আজ মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘তোমায় গান শোনাবো’ অনুষ্ঠানে গাইবেন তিনি। কথা হলো তার সঙ্গে-
‘তোমায় গান শোনাবো’ অনুষ্ঠানের জন্য গান নির্বাচন করেছেন কি?
এ অনুষ্ঠানের জন্য নজরুলের কয়েকটি কাব্যগীতি নির্বাচন করেছি। এর পাশাপাশি আমার বাবা আবু হেনা মোস্তফার লেখা এবং নিজের সুর করা ‘আমার একাকী চলা’, ‘আমি প্রদীপের মাঝে’সহ বেশ কিছু গান গাওয়ার ইচ্ছা আছে। কিন্তু সংশয়ে আছি গলা বসে যাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারব কি-না। যদি অংশ নিই, তাহলে নির্বাচিত গানগুলো ঠিকভাবে গাইতে পারব কি-না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না।
অনেক দিন পর আজ টিভির সরাসরি আয়োজনে গাইবেন। তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন…
সংশয়ের কারণ তো বললাম, গলা বসে গেছে। একজন শিল্পী ভাঙা গলায় গান শোনাবে- এটা নিশ্চয় কোনো দর্শক আশা করেন না। আর টিভি অনুষ্ঠানে কম দেখা যায় কেন জানতে চান? তার আগে আমাকে বলুন, নজরুলসঙ্গীত নিয়ে কয়টি অনুষ্ঠান হয়? বিদ্রোহী কবির জন্মজয়ন্তী আর প্রয়াণ দিবস ছাড়া তো নিয়মিত কোনো আয়োজন করা হয় না। যা হয় তার স্পন্সর পাওয়াও কঠিন। এ কারণে চ্যানেলে বাজেটও কমে যায়। স্বল্প বাজেটের অনুষ্ঠান করলে তার মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এ কারণেই কি নতুন প্রজন্মের নজরুলসঙ্গীত শিল্পীরা নিজেদের তুলে ধরতে পারছেন না?
অনেকটা তাই। শুধু নতুনরা নয়, আপনারা যাদের বলছেন শীর্ষস্থানীয় নজরুলসঙ্গীত শিল্পী, তারা নিজেরাই বা কতটুকু সুযোগ পাচ্ছেন গান করার? জানি আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ নয়। শুধু পৃষ্ঠপোষকতার অভাব নয়, আছে ভিজুয়াল মিডিয়ারও দাপট। যারা গানকে শোনা নয়, দেখার বস্তুতে পরিণত করেছে। গানের বাণী শুনে কেউ যদি উপলব্ধি করার সুযোগ না পান, তাহলে তার গভীরে কী আছে তা জানবেন কীভাবে। এ জন্য আগে নজরুলের গান শুনিয়ে নতুনদের মনন তৈরি করতে হবে। যখন তারা বুঝবে কী সুধা ছড়িয়ে আছে নজরুলসঙ্গীতে, তখন তাদের আগ্রহ তৈরি হবে।