‘ধর্মীয় কারণই, রোহিঙ্গা নির্যাতনের একমাত্র কারণ নয়’
দিনবদল ডেক্স: মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন করা হচ্ছে তার পেছনে ধর্মীয় কারণ একমাত্র কারণ নয়। তবে অনেকগুলো কারণের মধ্যে এটি একটি কারণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত কফি আনান কমিশনের সদস্য ঘাসাম সালামে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অপ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্যাডিজ (বিস) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিলে রাখাইন প্রদেশের সব সমস্যার সমাধান হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জাবাবে ঘাসাম সালামে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে।’
ধর্মীয় কারণে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা হচ্ছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো কারণে মধ্যে এটি একটি কারণ, তবে একমাত্র কারণ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এসব বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’
মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কফি আনান কমিশন দলের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, তাসনিম সিদ্দিকী, সিআর আব্রার, মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত অলোক কুমার চাকমা, আশফাকুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন কফি আনান কমিশনের তিন সদস্য। তারা হলেন- মিয়ানমার নাগরিক উইন ম্রা ও আই লুইন এবং লেবাননের নাগরিক ঘাসাম সালামে। এরপর গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তারা কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শণ করে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন।
ওই সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও), জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচসিআর) ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।