দুদকের কর্মকর্তাদের অনৈতিক আয় না করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন: দুদক চেয়ারম্যান

0

ikbal20170119031157

দিনববদল ডেক্স: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও দুদকের কর্মকর্তাদের অনৈতিক আয় না করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এই দুই সংস্থার কোনো কর্মকর্তা যদি অনৈতিক আয় করে আটক বা গ্রেফতার হয়, তাহলে কষ্ট পাই।’

এছাড়া কালো টাকা জমি ক্রয়ে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, গুলশানে ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দুই কোটি টাকায় রেজিস্ট্রেশন হয়। অথচ ধরা যাচ্ছে না।

বুধবার রাজধানীর রাজস্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে এনবিআর আয়োজিত ‘শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা বিষয়ক’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের করের টাকায় আপনারা বেতন পান। এনবিআর রাষ্ট্রের রক্ত। তাই দুদক ও এনবিআর কর্মকর্তাদের মধ্যে যদি অনৈতিকতা থাকে, তবে সেটা দেশের জন্য মারাত্মক সমস্যা।’

তিনি বলেন, দুদক ও এনবিআরের অনেক কর্মকর্তা সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা আছে। এখন সময় সত্য বলার। তাই এ ধারণা থেকে মানুষকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব কর্মকর্তাদেরই পালন করতে হবে। আমলাতন্ত্র দুর্নীতিমুক্ত থাকলে দেশে দুর্নীতি দ্রুত রোধ করা সম্ভব হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এদেশে এত লোক। অথচ আমাদের ট্যাক্স ভুটান ও নেপালের চেয়েও কম। এটা লজ্জার বিষয়। আমাদের তো সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। দেশের জন্য করযোগ্য সবারই কর দেয়া নৈতিক দায়িত্ব। প্রত্যেক নাগরিকের ট্যাক্স ফাইল থাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা অনেকক্ষেত্রে স্মার্ট, সেজন্য তারা অনেক সময় ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারেন। এনবিআর কর্মকর্তাদের তাদের মতো স্মার্ট হতে হবে। এজন্য এনবিআরের পদ্ধতিগত ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দুর্নীতি নির্মূলে রাজস্ব কর্মকর্তাদের দুদককে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘টাকা বাতাসে উড়ে বেড়ায়। জুয়ার টাকা কোথা থেকে আসে। নিজেরা সর্তক হই। সময় এসেছে আর কাউকে ছাড় না দেয়ার। অবৈধ আয় যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য এনবিআরের সহযোগিতা চাই, উদ্যোগ চাই, কর্মদক্ষতার উন্নয়ন চাই।’

কালো টাকা জমি ক্রয়ে চলে যাচ্ছে এমন অভিযোগ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গুলশানে ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দুই কোটি টাকায় রেজিস্ট্রেশন হয়। অথচ ধরা যাচ্ছে না। প্রত্যেক নাগরিক এনবিআরে সঠিকভাবে ট্যাক্স ফাইল জমা দিলে সম্পত্তি ও অর্থের উৎস জানতে পারবো।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *