মোদীর ঘোষণায় আস্থা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী যদিও দিদি না বলেছেন
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/04/Hasina-pm-420170410132854.jpg)
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/04/Hasina-pm-420170410132854.jpg)
দিনবদল ডেক্স: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পানিবন্টনে নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় আমরা আস্থা রাখছি; যদিও দিদি (মমতা ব্যানার্জি) না বলেছেন। এটা আমাদের ন্যায্য পাওনা। আমরা বিশ্বাস করি সমমর্যাদা এবং বন্ধুত্ব দিয়ে অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব। ঝগড়া করে সমস্যার সমাধান হয় না। বন্ধুত্ব দিয়েই দাবি আদায় হয়।’
চারদিনের সফরের শেষদিন সোমবার সকালে নয়াদিল্লির ইমপেরিয়াল হোটেলে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান এল কে আদভানি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ড. নির্মলা সিতারমণ, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্টমন্ত্রী রঞ্জিত সিং সহ নয়াদিল্লির বুদ্ধিজীবী মহল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে সম্মান করি। বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দেই। ছোট দেশ বড় দেশ বলে কোনো কথা নেই। স্বাধীন দুটি দেশ। আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো। বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে। শুধু এই দুই দেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের আমরা উন্নত জীবন দিতে পারবো। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র শত্রু দরিদ্রতা। এই শত্রুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে হবে।
তিনি বলেন, ভারতের লোকসভায় সর্বসম্মতভাবে ল্যান্ড বাউন্ডারি চুক্তি পাশ হয়েছে। এটা একাত্তরের বন্ধুত্বের ধারা বজায় রেখেছে।
ভারতের গণতন্ত্রের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের মানুষ ভাগ্যবান। গণতান্ত্রিক পক্রিয়া এখানে অব্যাহত আছে। কিন্তু বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পক্রিয়া অব্যাহত রাখতে আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। বাংলাদেশে বারবার সামরিক শাসন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রই দিতে পারে সুশাসন, দারিদ্রমুক্ত সম্মানজনক একটি জাতি।
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এল কে আদভানি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কোন্নোনে শেখ হাসিনা সহায়তা করতে পারেন। এই অঞ্চলের সকলের মধ্যে যেন স্নেহপূর্ণ সম্পর্ক হয়।’ শেখ হাসিনার ভারত সফরের শেষ দিন সোমবার সকালে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন আদভানি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের আরো উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাপ্রকাশ করেন ভারতের এই প্রবীণ নেতা।