ডোমারে তেজপাতা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/02/tagpata_39873_1487424562.jpg)
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/02/tagpata_39873_1487424562.jpg)
দিনবদল ডেক্স: নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তেজপাতার চাষ। ব্যাপক চাহিদা ও বাজার মূল্য ভালো থাকায় এ উপজেলার চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে তেজপাতার চাষে।
ডোমার উপজেলার উৎপাদিত তেজপাতা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। অল্প পরিশ্রমে কম সময়ে বেশী লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব ছোটরাউতার জেলেপাড়ার তেজপাতা চাষী লুৎফর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে তিনশ’ তেজপাতার চারা লাগিয়েছি। এক বিঘা জমিতে বছরে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ বাদে আয় হয় ৪০ থেকে ৪৩ হাজার টাকা।
ডোমার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর ৮-১০ হেক্টর জমিতে তেজপাতার চাষ হয়েছে। তেজপাতার চারা গাছ রোপণের দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পাতা সংগ্রহ করা যায়। বছরে দুইবার বাগান থেকে পাতা সংগ্রহ করা হয়।
তিনি জানান, চাষীদের উৎপাদিত তেজপাতা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। অনাবাদি, পতিত জমি ফেলে না রেখে তেজপাতার বাগান করছে অনেকেই। কম খরচে বেশি লাভ তাই আগ্রহী হয়ে চাষীরা এখন তেজপাতার চাষে ঝুঁকছেন।
উদ্ভিদবিদ মহিবুল ইসলাম মিলন বলেন, তেজপাতা একটি অর্থকরী ও মসল্লা জাতীয় উদ্ভিদ। এর অনেক ভেষজ গুন আছে। ভেষজ ঔষধ হিসেবে তেজপাতার ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশের আবহাওয়া তেজপাতা চাষের জন্য উপযোগী।
তিনি জানান, ডোমারে চাষকৃত তেজপাতা অধিক সুগন্ধি এবং ওজনে ভারী।এছাড়া ডোমারের মাটি তেজপাতা চাষের উপযোগী।
ডোমার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জাফর ইকবাল বলেন, ডোমার উপজেলায় ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমিতে তেজপাতা আবাদ হয়েছে। প্রতিটি গাছ থেকে বছরে চার হাজার টাকা আয় হয়। শুধু দেশে নয় বিদেশেও তেজপাতা রফতানি হচ্ছে