গ্রেনেড হামলা করে মানুষ মারা কোন ধরনের গণতন্ত্র ছিল।

0

ফাইল ফটো

শনিবার ২১ আগস্ট ২০২১ইং,
৬ ভাদ্র ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।

বিশেষ প্রতিনিধি:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুঃসহ স্মৃতিচারণ করে জাতির কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘গ্রেনেড হামলায় মানুষ মারা কোন ধরনের গণতন্ত্র ছিল?’

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ ২১ আগস্ট শনিবার, তিনি এমন প্রশ্ন করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আক্রমণকারীদের রক্ষা করার জন্য সেদিন ভয়াবহতার মধ্যেই পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে। সব আলামত সিটি করপোরেশনের গাড়িতে পানি এনে তা দিয়ে ধুয়ে নষ্ট করা হয়েছে। একটা গ্রেনেড অবিস্ফোরিত থেকে যায়, সেটিও সংরক্ষণের কথা বলায় একজন অফিসারকে ধমকানো হয়। পরে তাকে নির্যাতনও করা হয়েছে। সরকারের সহযোগিতা না থাকলে তো এমন হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘ওইদিন রাত ১১টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে চারজনকে দেশ থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেন খালেদা জিয়া (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী)। তার মধ্যে তাজউদ্দীনও ছিল। শোনা যাচ্ছে, তখন কর্নেল রশিদ ও ডালিম ঢাকায় এসেছিল। তাদের রক্ষা করে খালেদা জিয়া। যখন তারা জানলো- আমি মরি নাই। তখন দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও জড়িত ছিল।’

২১ আগস্টের ক্ষেত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগস্ট মাস আসেই শোক ব্যথা-বেদনা নিয়ে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা, আমার ভাই-বোনসহ সবাইকে হারালাম। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাদের চরম যন্ত্রণা ও কষ্টের। বিএনপির অত্যাচারটা শুরু হয়েছিল ২০০১ সালের ১ অক্টোবর থেকেই। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতোই নির্যাতন শুরু করেছিল।’ ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর হামলা হলৈা। আমরা সেটার প্রতিবাদ করলাম। সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ ডাকলাম। মুক্তাঙ্গনে সভা হওয়ার কথা ছিল, অনুমতি দেয়নি। মধ্যরাতে পার্টি অফিসের সামনে করার অনুমতি দিলো। তখনই সন্দেহ হল কেনো এতো রাতে অনুমতি দিলো। প্রকাশ্যে দিবালোকে এভাবে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ হত্যা করবে, তা কখনো ভাবিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাবার পথ ধরেই এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি। গ্রেনেড, বোমা, বুলেট দিয়ে বারবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে নেতাকর্মীরা আমাকে বাঁচিয়েছেন।’

বিএনপির সমালোনা করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারা গুম-খুনের কথা বলে। তাদের হারিস চৌধুরী, সালাউদ্দিন আরও কে কে গুম হয়েছে বলে বেড়ায়। পরে বিদেশে খোঁজ পাওয়া যায়। কেউ ভারতে, লন্ডনে বা আমেরিকায়। আসলে তারা নিজেরা নিজেদের গুম করে রাখে। এটাও এ দেশে ঘটে, দুর্ভাগ্য।’

সভায় ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য ও বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *