কে এম হাসানের নাম দিয়েছেন তিনি কী নিরপেক্ষ? : কাদের

0

16195935_253530565082982_2160087687289053645_n

দিনবদল নিউজ: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রেসিডেন্টের কাছে সার্চ কমিটির জন্য কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেছেন। তিনি কী নিরপেক্ষ?

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে নেতাদের এমন প্রত্যাশা আওয়ামী লীগকে ডুবাবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে জিতে গেছি এই আত্ম সন্তুষ্টিই আওয়ামী লীগকে ডুবাবে। ভালোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। খারাপ কাজ করলে খারাপ সময় আসলে তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আর ভালোরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের যদি আরেক বার ক্ষমতা হারাতে হয়, তাহলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল থেকেও ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। তারা ভয়ঙ্কর মূর্তি নিয়ে আবির্ভূত হবে। প্রাণে বাঁচতে পারবেন না। মন্দ কাজ পরিহার করতে হবে। যারা অপকর্ম করছেন তারা সংশোধন হয়ে যান। আওয়ামী লীগে কোনো অপকর্ম সহ্য করা হবে না।

তিনি বলেন, পার্টি অফিসে ডেকে এনে চার-পাঁচ জন সংসদ সদস্যকে সংশোধনের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন অপকর্ম বরদাশত করা হবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নতুন নতুন আবদার নিয়ে আসছে। এটা তাদের মামা বাড়ির আবদার। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারের ইচ্ছায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। খালেদা জিয়া আপনি যে আজিজ মার্কা (এমএ আজিজ) নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন সেই আজিজ কী বিএনপি দলের লোক ছিলেন না! আপনি প্রেসিডেন্টের কাছে কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেছেন, সেই হাসান সাহেব বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। কোন্‌টা নিরপেক্ষ! এটা কী নিরপেক্ষ? বিএনপি সাপোর্টার হলে তা কি পক্ষ না নিরপেক্ষ এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার বা শেখ হাসিনার কোনো ইচ্ছা নেই কোনো দলীয় লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হউক। শেখ হাসিনা কোনো দলীয় লোকের নাম প্রস্তাবও করেননি। নেত্রীর ইচ্ছাতে কোনো দলীয় লোকের নাম থাকে না। ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা কলেজে অনেক দিন পর একটা অপকর্ম হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন শুরু হয়েছে, যখনই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তখনই তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

যুবলীগের ওয়ার্ড সম্মেলনে যোগ দেয়ায় সমস্যায় পড়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি অনেক সমস্যার মধ্যে পড়েছি। আমার প্রোগ্রাম সূচিতে ওয়ার্ড সম্মেলনে আমার উপস্থিতির কর্মসূচি দেখে দলের অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ। অনেকেই আমাকে আসতে নিষেধ করেছিল কিন্তু আমি তাদের বলেছি আমি যাবো, কারণ ওয়ার্ড শাখাই হচ্ছে সঠিক এবং সত্যিকারের প্রাণ। আমি সুযোগ পেলে বাংলাদেশের যে কোনো গ্রামের যে কোনো ওয়ার্ডের সম্মেলনে যাবো। কারণ দলের মূল জায়গা হচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল থেকেই দলকে গড়ে তুলতে হবে। বড় নেতা হলে ছোট জায়গায় যাবো না- এই মানসিকতা থাকলে দলের নেতা বাড়বে কর্মী কমে যাবে। এটা করলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে না।

যুবলীগ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুবলীগের যে শৃঙ্খলা আছে তা আওয়ামী লীগেও নেই। যুবলীগের যে গবেষণা প্রকাশনা রয়েছে তা আওয়ামী লীগে নেই। আমি চেষ্টা করছি সেরকম কিছু করতে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *