কুয়াকাটা ও পায়রাবন্দর আবিষ্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কুয়াকাটা ও পায়রাবন্দর আবিষ্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সাগর কন্যাখ্যাত কুয়াকাটা মেগাবিচ কার্নিভালের উদ্বোধনের সময় দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিন দিনব্যাপী শুরু হওয়া এ কার্নিভাল চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদ সদস্য খ ম জাহাঙ্গীর, মাহবুবুর রহমান তালুকদার, শওকত হাচানুল রিমন, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক প্রমূখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়াকাটা এসে তিনদিন থেকেছিলেন। তখনই তার নজরে আসে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। তিনিই এটিকে পর্যটন স্পট হিসেবে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে উদ্যোগ নেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কুয়াকাটা বিষয়ে দ্রুত একটা সেমিনার করেন। একটা কর্মপন্থা তুলে ধরতে হবে। ওই সেমিনারের যেসব মতামত আসবে তার ভিত্তিতে কুয়াকাটাকে সাজানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারকে তো এখন মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে সাজাতে গেলে অনেক অর্থের প্রয়োজন হবে। অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু কুয়াকাটায় সেই কষ্ট করতে হবে না। সরকারের মেয়াদ আছে আর দুই বছর। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। বাকিগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এজন্য স্থিতিশীল পরিবেশ দরকার। দেশে এখন সেই অবস্থা বিরাজ করছে।
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে পর্যটন মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। কারণ এটা চোখে দেখা যায় না, স্পর্শ করাও যায় না। কিন্তু এখান থেকে প্রচুর অর্থ আয় করা যায়।
এর আগে সকালে বর্ণাঢ্য র্যা লির মাধ্যমে কুয়াকাটা মেগাবিচ কার্নিভাল শুরু হয়। র্যা লিতে বাংলাদেশে স্কাউটের বরিশাল অঞ্চল, মিডিয়া কাউন্সিল ফর ট্যুরিজম, রাখাইন কমিউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়। এছাড়াও টুরিষ্ট পুলিশের কয়েকজন চৌকস প্রতিনিধি এ র্যা লিতে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, প্রথমবারের মতো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাগর কন্যাখ্যাত কুয়াকাটায় শুরু হওয়া এ কার্নিভাল প্রতিদিনই পর্যটকদের জন্য থাকবে বিনোদনের ব্যবস্থা। গাইবেন লোক সংগীত শিল্পী সালমাসহ আরো অনেকে। বিশেষ অনুষ্ঠানে নাচবেন চিত্র নায়ক ও নায়িকারা।