কুড়িগ্রাম-৩ এমপি, এম এ মতিন বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আ.লীগ নেতাদের লিখিত অভিযোগ!

0

শনিবার,
২৬ কার্তিক ১৪৩০বঙ্গাব্দ,
১১ নভেম্বর ২০২৩ ইং
জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

সীমাহীন দুর্নীতির কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন জাতীয় সংসদ ২৭ কুড়িগ্রাম -৩ (উলিপুর উপজেলা) বর্তমান এমপি, এম এ মতিন।প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

তাদের অভিযোগ পত্রে বলা হয়, এমপি এমএ মতিন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার কর্তৃক বরাদ্দক্রিত টি আর, কাবিখা এলাকা ভিত্তিক মসজিদ, মন্দির, বা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ না দিয়ে শতভাগ ব্যাবসায়িদের নিকট বিক্রয় করে।

বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রদানের কথা বলে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে অগ্রিম হাতিয়ে নেন।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবকাঠামো বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে প্রধান শিক্ষকের নিকট হতে ১ লক্ষ টাকা করে হাতিয়ে নেন। যেসব স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় পিয়ন অফিস সহকারী অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ নিয়োগ করছেন সে গভর্নিং বডি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে জন প্রতি ২ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নিয়ে, জামাত-বিএনপি এমন কি উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস পোড়ানো মামলার আসামিকেও ডি লেটার প্রদান করেছেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রহরি নিয়োগে চার প্রার্থীর নিকট হইতে জনপ্রতি ৮ লক্ষ টাকা করে মোট ৩২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন, অদ্যাবধি তাদের টাকা ফেরত দেয় নাই। তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার প্রভাব খাটিয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন ,এতে এলাকার জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর তিনি রাজাকার পরিবারের সন্তান হয়েও কিভাবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হলেন ।

তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে ভুল বুঝিয়ে ক্ষেত্র বিশেষ জোর করে সাদা কাগজের সই প্রদান করে তার স্বার্থ চরিতার্থ করার অনুরোধ পত্র লিখে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন ।

অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় তিনি সর্বত্র জোর প্রচার চালাচ্ছেন এই যে, প্রধানমন্ত্রী পরিবারের বিশেষ এক ব্যক্তিকে মোটা অংকের অর্থ প্রদান করেছেন এবং সে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন। এমপি সাহেব সাধারণ জনগণ দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে প্রায়ই অসৌজন্যমূলক মূলক আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন।

এছাড়া কুড়িগ্রাম -৩ এর এমপি এম এ মতিন ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৮ সালে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক কাজী আসাদের আহবায়ক কমিটির ৭ নং সদস্য ছিলেন। তার বড় ভাই মৃর্ত আঃ মজিদ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন।

তার আরেক বড় ভাই আঃ করিম রাজাকার ছিলেন, তিনি উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের গনহত‍্যায় অংশ গ্রহন করেন। কুড়িগ্রাম জেলার রাজাকারের তালিকায় তিনি ৩৬৪ নাম্বার । হাতিয়া গনহত‍্যার মানবতা বিরোধী মামলায় ১৩ জন আসামীর মধ্যে এই আঃ করিম ছিলেন ১২ নং আসামী। ১৩ জন আসামীর মধ্যে ১২ জনই গ্রেপ্তার হয় এবং দুইজন জেলেই মারা যায় একমাত্র এমপি এম এ মতিনের বড় ভাইকে গ্রেপ্তার না করে পলাতক দেখানো হয়েছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে তার স্ত্রী নাছিমা বানুর বদলে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে তার স্ত্রী নাছিমা বানুও স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের মেয়ে ছিলেন তার পরিবারের সাথে কুখ্যাত রাজাকার ও মুসলিমলীগের নেতা কাশেম মিয়ার আত্ত্বীয় ছিলেন তারা আসাম থেকে আসেন।

তার স্ত্রী মূলত প্রথমে দলে আসেন আওয়ামীলীগের কাছে সূদিনে, সুবিধা নেওয়ার জন্য । তারই মাধ্যমে এম এ মতিন আওয়ামীলীগ না করেও গত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নেন।

এমপি হয়ে দলের প্রবীন ত‍্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে জামায়াত ও বিএনপি ও তার আত্ত্বীয় স্বজন দিয়ে কমিটি করেন। তাদের দ্বারা বিভিন্ন অনিয়ম, লুটপাট ও দূর্নীতি করে টাকার পাহার গড়েছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *