ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নতুন চমক : মডেল ফার্মেসি
দিনবদল নিউজ: ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উদ্যোগে রাজধানীতে ‘মডেল ফার্মেসি’ চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজধানীর কলাবাগানের লাজ ফার্মা ও পান্থপথের বায়ো মেইড এ দুটি ফার্মেসি ‘মডেল ফার্মেসির লাইসেন্স নিয়ে ওষুধ কেনাবেচা করছে।
আগামীকাল বুধবার গুলশানের পাঁচটি ফার্মেসি ‘মডেল ফার্মেসি’ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে। সেগুলো হলো- আল মদিনা, ইসলাম ফার্মা, সাফাভি, তামান্না ও প্রেসক্রিপশন এইড-১। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক মডেল ফার্মেসিগুলোর উদ্বোধন করবেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, দেশে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি বন্ধের লক্ষ্যে মডেল ফার্মেসি চালু করা হয়েছে। ফার্মেসিগুলো প্রশিক্ষিত ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করা যাবে না।
রাজধানীসহ সারাদেশে দুই হাজারেরও বেশি মডেল ফার্মেসির লাইসেন্স প্রদান করা হবে। রাজধানীতে ৩২টি ও এর বাইরের বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুই হাজার মডেল ফার্মেসি পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
জানা গেছে, লেবেল-এ ও লেবেল-বি- এই দুই ক্যাটাগরির মডেল ফার্মেসির লাইসেন্স দেয়া হবে। এ ক্যাটাগরির মডেল ফার্মেসির আয়তন ১৫ ফুট বাই ১০ ফুট এবং বি ক্যাটাগরির ফার্মেসির আয়তন হবে ১০ ফুট বাই ৯ ফুট।
মডেল ফার্মেসিগুলোতে ক্যাটাগরি (এ ও বি) অনুযায়ী ওষুধ রাখার অনুমতি প্রদান করা হবে। কোল্ড চেইন অনুসরণ করে ওষুধ সংরক্ষণ করতে হবে। সাধ্য মোতাবেক কেউ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের সুব্যবস্থা করতে পারে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি বিক্রীত ওষুধের হিসাব রাখতে হবে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফার্মেসির সংখ্যা এক লাখ ২৫ হাজার। তবে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি রয়েছে প্রায় ২০ হাজার। অধিদফতরের কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে ফার্মেসি পরিদর্শন করে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোকে লাইসেন্সের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান সম্প্রতি জানান, কিছুদিন আগ পর্যন্ত সারাদেশের ফার্মেসিগুলোর অধিকাংশই ‘সি’ ক্যাটাগরির (নন গ্র্যাজুয়েট) ফার্মাসিস্ট দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিল। তারা ফার্মেসি কাউন্সিলের অধীনে সপ্তাহে একদিন করে আট সপ্তাহের ক্লাস ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘সি’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স পেত। মডেল ফার্মেসিগুলোর প্রতিটি গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা বেধে দেয়া হচ্ছে।