এলিট একাডেমিতে ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার
শুক্রবার,
১৯ জানুয়ারি ২০২৪,
৫ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ইং,
এক বছরের জন্য ‘বাফুফে এলিট একাডেমি’র প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঢাকায় এসেছেন ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার। গতকাল বুধবার ঢাকায় আসার একদিন পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি প্রথমবারের মতো কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে যান তিনি। সেখানে গিয়ে একাডেমির খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন।
খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর বাটলার জানতে পারেন, সেখানে ৫৬ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৫২ জন আছেন একাডেমিতে। বাকি চারজন ক্লাবে। এরপর কমলাপুর স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা দেখেন ইংলিশ কোচ।
স্টেডিয়ামে দেখেশুনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাটলার। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে খেলোয়াড় তৈরি করতে পছন্দ করি। এর আগেও আমি এশিয়াসহ কয়েকটি দেশে একাডেমির দায়িত্ব পালন করেছি। আশা করছি, বাংলাদেশে আমি কাজটি ভালোভাবে করতে পারবো। বাফুফে সভাপতির সঙ্গে কথা বলে আমার ভালো লেগেছে। যে কারণে, এখানে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে আমি আগ্রহ দেখিয়েছি।’
উল্লেখ্য, এর আগে দুটি দেশের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন বাটলার। লাইবেরিয়া ও বতসোয়ানা জাতীয় দলে কাজ করার পর বাংলাদেশের একাডেমির প্রথম কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের এই একাডেমির দায়িত্ব নিয়ে প্রধান লক্ষ্য কি হবে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাটলার বলেন, ‘এই একাডেমিতে এখন ৫৬ জন ফুটবলার আছেন। জেনেছি, বাফুফে এখানে আরো খেলোয়াড় দেবেন। এখান থেকে তরুণদের তৈরি করে জাতীয় দলে সরবরাহ করতে পারলেই সেটা হবে আমার অর্জন। আমি সেদিকেই গুরুত্ব দিতে চাই।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ওয়েস্টহামে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাটলারের। দেশটির শীর্ষ ফুটবলে ৫০০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের এলিট একাডেমির খেলোয়াড়দের কি ইংলিশ ঘরানার ফুটবলে অভ্যস্ত করতে চান তিনি?
বাটলার বলেন,‘আমি ইংলিশ হলেও কাজ করেছি অনেক দেশে। তাই ফুটবলাররা কোন দেশের ফুটবলে অভ্যস্ত হবেন তা কোনো বিষয় নয়। আমি এখানে উন্মুক্ত। আমার প্রধান কাজ হবে বাংলাদেশের জাতীয় দলের পাইপলাইন মজবুত করা। আমি জানি, এখানে প্রতিভা আছে। দেশটি ফুটবলে উদিয়মান। বিভিন্ন দেশে কাজ করার কারণে অনেকে আমাকে এই দায়িত্বের জন্য অতি যোগ্যতাসম্পন্ন মনে করেন। তবে আমি সেটা করি না। আমি সাধারণ একজন মানুষ। ইয়র্কশায়ারের ক্রিকেটময় পরিবেশে বড় হয়েও ওয়েস্টহামের মতো বড় ক্লাব ফুটবল খেলেছি। আসলে ইচ্ছাশক্তিটাই সবচয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশের ফিফা র্যাংকিং প্রসঙ্গ তুললে একাডেমির নতুন এই কোচ বলেন, ‘এটা আমার কোনো বিষয় না। জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে ফিফা র্যাংকিং। আমার কাজ খেলোয়াড় তৈরি করা। জেনেছি, বাংলাদেশে ৬৪ জেলা আছে। সব জেলায় হয়তো যাওয়া সম্ভব হবে না। তবে কোথাও কোনো টুর্নামেন্ট হলে অবশ্যই যাবো।’