ই-ভোটিংয়ে রাজী নয় নির্বাচন কমিশনের

0

1487516418

দিনবদল ডেক্স: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোর্টিং বা ই-ভোটিং ব্যবহারে সায় নেই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। স্বল্প পরিসরে হয়তো আগামী নির্বাচনে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহার করা হতে পারে। তবে ই-ভোটিং আর ডিভিএম এক নয় বলে স্পষ্টই জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

তারা বলছেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ ব্যবহার করে ভোট দেয়ার পদ্ধতি হলো ডিভিএম। আর কেন্দ্রে না গিয়ে ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা টেলিফোন ব্যবহার করে ভোট দেয়াকে ই-ভোটিং বলতে চাচ্ছে কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, ই-ভোটিং আর ডিভিএম এক নয়। আপাতত ই-ভোটিংয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়। উন্নত বিশ্বে ই-ভোটিং পদ্ধতি চালু থাকলেও আমাদের দেশে হয়তো ভবিষ্যতে তা ব্যবহার হতে পারে। তবে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে বিগত কমিশন পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বর্তমান কমিশন এখনো এ বিষয়ে কোনো আলাপ-আলোচনায় করেনি। সকলের সঙ্গে আলোচনার পর কমিশন চাইলে স্বল্প পরিসরে আগামীতে ডিভিএম ব্যবহার করতে পারে। পুরোপুরি ডিভিএমে আগামী নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।

ইসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নানা ব্যস্ততার কারণে অনেকে ভোটের দিন ভোট দিতে পারেন না। এই বাস্তবতায় উন্নত বিশ্বে ই-ভোটিং পদ্ধতি চালু রয়েছে। এতে মূলত কেন্দ্রে না গিয়ে ভোটের আগে ভোট দেয়া যায়। বিশেষ করে প্রবাসী ভোটার, ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরতসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচনে এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহন সম্ভব নয়। নতুন কমিশনারদের মধ্যে ই-ভোটিং নিয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা নেই।

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নতুনবা ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে একাদশ সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে মাত্র ২১ মাস সময় রয়েছে বর্তমান কমিশনের হাতে।

সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনমানুষের ভোটারাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ এর প্রবর্তন করার পরিকল্পনাও বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *