ইইউ-আমেরিকা বিএনপিকে ঘোড়ার ডিম দিয়ে গেল: কাদের
০৩ শ্রাবন ১৪৩০বঙ্গাব্দ,
১৮ জুলাই ২০২৩ইং
ঢাকা সফরকারী ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আমেরিকান প্রতিনিধি দল বিএনপিকে ঘোড়ার ডিম দিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
১৮ জুলাই মঙ্গলবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি সম্প্রতি তাদের সমাবেশে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্তির ‘এক দফা’ দাবি উত্থাপন করলেও কাদের বলেন, ‘(প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। পার্লামেন্ট ভাঙবে না।’
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের (ইইউ-আমেরিকা) কাছে দাবি করে কে? বিএনপি। কী পেয়েছেন? একটা হাঁসের ডিম, ঘোড়ার ডিম।’
রাজধানীতে বিএনপির পদযাত্রা সম্পর্কে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, ‘ফখরুল আজকে কী বলেছেন? পদযাত্রার জয়যাত্রা, বিজয়যাত্রা। আসলে পদযাত্রা নয়, পরাজয়যাত্রা পতনযাত্রা শুরু হয়ে গেছে।’
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের জন্ম দিতে চাইলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। যদি তারা আবার সন্ত্রাসী কর্মকা- করে তাহলে আমরা কিন্তু বসে থাকব না। আমরা দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেব। জবাব দিতে গিয়ে যদি কোনো ঘটনা ঘটে তার দায় বিএনপি-জামায়াতকে নিতে হবে।’ আজ থেকেই আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হলো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যত কর্মসূচি থাকবে আমরা পালন করবো।’
দলের সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দল আজকে সকালে আমাদের মিরপুরে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। হোন্ডা পুড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকা- শুরু করেছে। আমরা রাজপথে মোকাবিলা করবো।’
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘যদি অবাধ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেন, আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনাদের পরিণাম হবে ভয়াবহ।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, আর সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
দুপুর আড়াইটার পর থেকেই ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খ- খ- মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। এসময় মঞ্চ থেকে তাদের অভিনন্দন জানানো হয়। সমাবেশ শুরুর আগে আয়োজনস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
সমাবেশ শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে একটি র্যালি বের হয়ে। এটি শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে শেষ হয়।
About Post Author
