আবারো ডুবোচরে আটকা পড়েছে পর্যটকবাহী তিনটি জাহাজ

0

ship-bd2015121613214720170114175654

দিনবদল ডেক্স: কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে আবারো ডুবোচরে আটকা পড়েছে পর্যটকবাহী তিনটি জাহাজ। এসব জাহাজে সহস্রাধিক যাত্রী রয়েছে।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সেন্টমার্টিন জেটি ত্যাগ করার আধাঘণ্টার মাথায় বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় নাইক্ষ্যংদিয়ার অদূরে ডুবোচরে পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রোজ এনড ডাইন ও এলসিটি কুতুবদিয়াআটকা পড়ে।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম। ভাটার কারণে এমনটি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো সকালে যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন যায় পর্যটকবাহী জাহাজ তিনটি। নিয়ম মতে, বিকেল সাড়ে ৩টায় ফিরতি যাত্রী নিয়ে জাহাজগুলো একটার পর একটা টেকনাফের উদ্দেশে সেন্টমার্টিন ত্যাগ করে। বেশ কয়েক কিলোমিটার আসার পর বঙ্গোপসাগরে ডুবোচরে আটকা পড়ে জাহাজ তিনটি।

খবর পেয়ে বেলা ৫টা পর্যন্ত এলসিটি কাজল সেন্টমার্টিন জেটি ত্যাগ করেনি। আটক পড়া জাহাজগুলোতে ৩ থেকে সাড়ে ৩০০ যাত্রী রয়েছে বলে দাবি করে জাহাজ কর্তৃপক্ষ। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রতিটি জাহাজেই ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী রয়েছে।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফের ইউএনও মো. শফিউল আলম বলেন, ভাটার কারণে ডুবোচরে জাহাজগুলো আটকে গেছে বলে খবর পেয়েছি। জোয়ার আসা শুরু হয়েছে (বেলা ৫টা থেকে) পানি বাড়লে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, যাত্রীদের অভয় দেয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়ম মতো যাত্রী রয়েছে কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও ঘাটে প্রশাসনের প্রতিনিধি অবস্থান করে অতিরিক্ত যাত্রী পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, আগে ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলো ডুবোচরে আটকে গেছে খবর পেয়ে এলসিটি কাজল জোয়ার না আসা পর্যন্ত সেন্টমার্টিন ঘাট ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জোয়ার পূর্ণ হলে জাহাজটি টেকনাফের উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন ত্যাগ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আজকেও প্রতিটি জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী রয়েছে বলে উলে­খ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে পর্যটকবাহী জাহাজ এলসিটি কাজল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাগরের ডুবোচরে আটকা পড়ে। ওই জাহাজে সাড়ে ৭ শতাধিক পর্যটক ছিল। যা ধারণক্ষমতার দ্বিগুন বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *