আফগানিস্তানে নিহত বাংলাদেশি ‘জঙ্গিদের’ তথ্য জানতে চায় পুলিশ সদর দপ্তর
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/04/2f8f07308eccda49ef5aad18e639b61c-58f7a0abc24b2.jpg)
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/04/2f8f07308eccda49ef5aad18e639b61c-58f7a0abc24b2.jpg)
দিনবদল ডেক্স: আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের মাদারস অব অল বোম্বস (এমওএবি) হামলায় নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশের পুলিশ সদর দফতর। ওই ঘটনায় আদৌ কোনও বাংলাদেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে কিনা বা নিহত হলেও তারা কারা তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতরের একটি সূত্র। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (গোপনীয়) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।
গত ১৩ এপ্রিল আইএস জঙ্গিদের অবস্থান লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জিবিইউ-৪৩ নামের এই বোমাটিকে ‘মাদার অব অল বম্বস’ মনে করা হয়। পারমাণবিক বোমার পর এটিই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই বোমা হামলায় ৯০ জনেরও বেশি আইএস জঙ্গি নিহত হয় বলে জানা গেছে। ওই হামলার পর গত ১৮ এপ্রিল এ ঘটনায় নিহতদের জাতীয়তা সম্পর্কে জানিয়েছেন আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানিশ। তিনি বলেন, হামলায় নিহত জঙ্গিদের অধিকাংশই পাকিস্তান, ভারত, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘২০১৪ সালের জুন মাসে ইরাক ও সিরিয়ায় আন্তর্জতাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট খেলাফত ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন তরুণকে ‘ব্রেইন ওয়াশ’ করে আইএস জঙ্গি হিসেবে যুদ্ধের জন্য সিরিয়ায় পাঠানো হয়। নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও এই সংখ্যা ২০ এর আশেপাশে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আইএসের জঙ্গি হিসেবে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের অনেকেই ইতোমধ্যে বিভিন্ন হামলায় মারা গেছেন। কেউ কেউ দেশে ফিরে আসার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া এখন অল্প কয়েকজনের বিষয়ে সিরিয়ায় থাকার বিষয়ে কিছু তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তারা এখনও জীবিত, নাকি মারা গিয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনও তথ্য নেই|’
সিটি সূত্র জানায়, আফগানিস্তানে মাদার অব অল বোম্বস হামলায় যদি বাংলাদেশের কোনও জঙ্গি মারা যায়, তাহলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হবে। জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া জরুরি বলে মনে করেন সিটির কর্মকর্তারা।