অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্ষবরণ

0

61533_lead

দিনবদল ডেক্স: অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বানের মধ্য দিয়ে জাতি উদযাপন করছে বাংলা নববর্ষ। ১৪২৪ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছিল সারা দেশ। সমস্ত গ্লানি ধুয়ে-মুছে অগ্নিস্নানে শুদ্ধ করার বারতা নিয়ে এসেছে বৈশাখ। সারাদিন ধরে নানা আনন্দ আয়োজনে অংশ নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিলেন শুভবুদ্ধির অগণিত মানুষ।

পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানমালা চলছে সারাদেশে, তবে উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু ঢাকার রমনা উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে। শুক্রবার ভোরে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘ ৫০ বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় ছায়ানট ১৪২৪ সনকে স্বাগত জানিয়েছে রমনা বটমূলের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

আলোকের এই ঝরনাধারায় ধুইয়ে দাও-এমন বারতা নিয়ে রমনা বটমূলে চলছে নতুন বাংলা বছরকে বরণ। সারোদের সুরের মূর্চ্ছনায় সকাল সোয়া ছয়টায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। মূলতঃ সরোদের বাদনে ছিল আহ্বান।

রাজপুর চৌধুরীর সারোদ বাদনের পর চলছে মূল অনুষ্ঠান। এবার আয়োজনের মূল আকর্ষণ পঞ্চ কবি ও কালজয়ী গান গাইছেন প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পি ইফফাত আরা দেওয়ান। এ বছর ছায়ানটের এই আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ‘আনন্দ, আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও মানবতা। ১৯৬৭ সন থেকে ছায়ানট রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি করে আসছে। এ বছর চলছে ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন।

এদিকে ছায়ানটের বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে রমনার চারদিক থেকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভেতরে কাউকে কোনো প্রকার ব্যাগ হাতে ঢুকতে দেয়নি তারা। তবে এই কড়া নিরাপত্তার ভেতরে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে সকলের অংশগ্রহণ। বটমূলের চারপাশ কানায় কানায় ভরে উঠেছে সর্বসাধারণের অংশগ্রহণে। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সী পেশার মানুষের আগমনে মুখরিত পুরো রমনা পার্কের ভেতরের পরিবেশ।

আর বরাবরের মতো অন্যতম আকর্ষণ ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। যেটি বেরিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে। গেল বছর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে এই শোভাযাত্রা। ঢাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে। প্রতিবারের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঘ, হাতি, পাখি, মুখোশ স্থান পেয়েছে।
এবারে নিরাপত্তা কড়াকড়ি বেশ চোখে পড়েছে সবার। উন্মুক্ত স্থানের অনুষ্ঠানমালা বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *