অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে গাজীপুরে আবাসিক হোটেলে পুলিশের অভিযান
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/04/Untitled-1-copy.jpg)
![](https://dinbodalnews24.com/wp-content/uploads/2017/04/Untitled-1-copy.jpg)
বিশেষ প্রতিনিধি: লাগবো। কলেজ না স্কুলের টাও আছে। এক কথায় কচি মাল আছে। আবার কেউ বা বলছেন, মামা কচি মাল আছে, ভেতরে আসেন। নতুবা পরে যোগাযোগ করেন এই নেন-ভিজিটিং কার্ড। আমরা কচি মাল লাগলে বাসায় পাঠিয়ে দেব। তবে চার্জ একটু বেশি।
মদ, নারী, তাশ এই তিনেই সর্বনাশ। আর এই সর্বনাশা খেলার রমরমা মেলা এখন গাজীপুর সদরে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল। সেখানে সাজানো হচ্ছে নারী দেহের পসরা। গাজীপুর সদরে হোতাপাড়া এলাকায়, আবাসিক হোটেলগুলো পরিণত হয়েছে এইসব কর্মকান্ডের আখড়া।
গাজীপুর সদরের টপটেররদের চাদাবাজি, মাদক, নারী ব্যাবসা নিয়ন্ত্রিত হয় এই সব হোটেল থেকেই।
গ্রামের সহজ সরল অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়েদের দেহ ব্যাবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগও মিলছে হরহামেশাই। সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চান না এই সব হোটেলে কর্মরত কর্মকর্তারা অথবা মালিক পক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ডবাজার ও কোনাবাড়ী এলাকায় ৮টি আবাসিক হোটেল থেকে ২৪ জন নারী ও ২৫ জন পুরুষকে আটক করা হয়।
জয়দেবপুর থানাধীন ভোগড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. জাকির হোসেন জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজারের মেট্রোরাজ ও ময়নামতি এবং চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রয়েল, রাজ ও প্যারেট আবাসিক হোটেল থেকে ১৭ জন নারী ও ১৮ জন পুরুষসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়।
অপরদিকে জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মোবারক হোসেন জানান, সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় রেইনবো, ডিমল্যান্ড ও ইয়ার আবাসিক হোটেল থেকে যৌনকর্মীসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন নারী ও সাতজন পুরুষ রয়েছে।
এর আগে সোমবারও চান্দনা চৌরাস্তা এবং কোনাবাড়ি এলাকায় বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৫০ জন জনকে আটক করা হয়।
আরেক কৌশল-হারবাল চিকিৎসার নামে ভিজিটিং কার্ড বিতরণ। রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা, বাংলাবাজার, বাগের বাজার, মাস্টার বাড়ী, এলাকায় এ তৎপরতা বেশি। দেখা যায়, রোজভ্যালী আবাসিক হোটেলের সামনে প্রতিদিন অবস্থান করে দালাল চক্র। প্রতিটি হোটেলের নির্দিষ্ট প্রায় একশত পঞ্চাশ জন লোক নিচে ঘোরাফেরা করে। টার্গেট করা পথচারীকে তারা ডাকে মামা বলে। কাছে এলেই ধরিয়ে দেয় ভিজিটিং কার্ড।
বলাবাহুল্য, এমতাবস্থায় পতিতাবৃত্তি বন্ধকল্পে তাদের পুনর্বাসনের বিকল্প নেই। এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হলে বড় ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের মুখে পড়তে হতে পারে বলে সংশিষ্টদের ধারনা।