অবশেষে দলীয় পদ ফেরৎ পাচ্ছেন আবুল হোসেন

0

abul-hossin20170219201135

দিনবদল ডেক্স: পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সৈয়দ আবুল হোসেন স্বপদে ফিরছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানি সফর শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে। দলের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান কমিটিতে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদটি এখনও ফাঁকা। পদ্মা সেতুর অর্থায়নের দুর্নীতির অভিযোগ যেহেতু প্রমাণিত হয়নি, সেহেতু এ পদে তিনি পুনর্বহাল হবেন এটাই স্বাভাবিক।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কানাডিয়ান আদালত পদ্মা সেতুর অর্থায়ন প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে এসএনসি-লাভানীন কোম্পানির তিন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়। এ আদেশের পর সৈয়দ আবুল হোসেন নির্দোষ বলেই প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ২০১২ সালে হারানো পদটি ফিরে পাওয়াটাই যৌক্তিক বলে মনে করেন তারা।

দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার গুডবুকে সাবেক এ মন্ত্রীর নাম রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে বিকল্প কারও নাম এখনও আলোচনায় আসেনি।

১৯৯২ সালে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরে দলে আসেন ব্যবসায়ী সৈয়দ আবুল হোসেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০০১ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন হন। মহাজোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পান তিনি।

২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ১৮তম জাতীয় সম্মেলনে আবারও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান আবুল হোসেন। তবে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১২ সালের ২৩ জুলাই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য থাকলেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি সৈয়দ আবুল হোসেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় অনেকটাই আলোচনার বাইরে ছিলেন সাবেক এ যোগাযোগমন্ত্রী।

নাম না প্রকাশের শর্তে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ যেহেতু প্রমাণ হয়নি সেহেতু সৈয়দ আবুল হোসেন নির্দোষ। এখন তাকে দলে ফেরানোই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। তবে মন্ত্রিসভায় যুক্ত হবেন কি না এ বিষয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *