অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৫১ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
দিনবদল ডেক্স:বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভা। একটি প্রকল্পের আওতায় ব্যক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে ঋণ দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হবে। অপর প্রকল্পের আওতায় স্থলবন্দরসহ যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। বিশ্বব্যাংকের সদর দফতর ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় দুই প্রকল্পের ঋণ প্রস্তাব ইতিমধ্যেই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিনিয়োগ উন্নয়ন ও অর্থায়ন সহায়তা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় (আইপিএফএফ-২) প্রকল্প বাস্তবায়নে দেওয়া হবে ৩৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে সহজ শর্তে ঋণ দানে সহায়ক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে পাওয়া যাবে ২৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। অবশিষ্ট ১০ কোটি ডলার আসবে তুলনামূলক কঠিন শর্তের এসইউএফ তহবিল থেকে। আর আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্পের ১৫ কোটি ডলার আসবে আইডিএ তহবিল থেকে।
বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, আইপএফএফ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যক্তি খাতে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেওয়া হবে। এ প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি শোধন, জ্বালানী সাশ্রয়ী উপকরণ, কন্টেইনার টার্মিনাল, স্থলবন্দর ও সেতুর মতো বড় অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনেক কারণেই বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠনগুলো অবকাঠামো খাতে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ দিতে পারছে না। সাধারণত এ খাতে পাঁচ থেকে সাত বছর মেয়াদে ঋণ দেয়া হলেও প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ঋণের মেয়াদ বাড়ানো হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতে সহায়তা পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করবে। এর আগে প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে ১১টি ছোট আকারের বিদ্যুত প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের তিনটি স্থলবন্দর আধুনিকায়নে কাজ করা হবে। ভোমরা, শেওলা ও রামনগর বন্দর উন্নয়নের মাধ্যমে ভারত ছাড়াও ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়বে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক। এর বাইরে প্রকল্পটির আওতায় বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কাজ করার কথা রয়েছে। স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এ সব বন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্য টরিচালনায় সময়ও কম লাগবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।