হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সৌরভ গাঙ্গুলী
অবশেষে আজ রোববার সকালে সৌরভকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে একগাদা পরামর্শও দিয়েছেন তাকে, যেন এগুলো মেনে চলেন তিনি।
চারদিন পর হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হলো বিসিসিআই সভাপতিকে। আজ সকাল ১১টা নাগাদ সৌরভকে অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সৌরভ গাঙ্গুলি পুরোপুরি বিপদ মুক্ত। আপাতত কিছুদিন তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে।
আজ সকালে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘সৌরভ পুরোপুরি সুস্থ এবং স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন। গতকাল রাতে ভাল ঘুম হয়েছে তার। শরীরের সব প্যারামিটারই সুস্থতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে, হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সৌরভের সঙ্গে কথা বলার পরই নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এনজিওপ্লাস্টির পর ‘ব্লকেজ’ সরাতে বসানো হয় একটি স্টেন্ট। চারদিন পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন মহারাজ। কিন্তু আবারও গত বুধবার বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তড়িঘড়ি অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সৌরভকে। একাধিক পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার তার বুকে আরও দুটি স্টেন্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ভারতের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবি শেঠী, প্রখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট অশ্বিন বালাচাঁদ মেহতা, চিকিৎসক আফতাব খান, সপ্তর্ষি বসু এবং সরোজ ম-লের নেতৃত্বে অ্যানজিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো হয় সৌরভের হৃদযন্ত্রে।
রোববার (আজ) সকালে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর, তার সুস্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা এবং তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আপাতত কিছু নিয়ম মেনে বাড়িতেই বিশ্রামে থাকবেন মহারাজ। তার খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে এবং রক্ত তরল রাখার ওষুধ খেতে হবে। বছরে একবার চেকআপ করাতে হবে।
২০২১ সালটা বিপদের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির। বছরের শুরুতে (২ জানুয়ারি) হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করায় কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হৃৎপি-ে রক্ত সরবরাহকারী তিনটি ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ ধরা পড়ে সেখানকার পরীক্ষা-নীরিক্ষায়।