শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিনঃ প্রধানমন্ত্রী

0

বৃহস্পতিবার,
০২ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকঃ

বিলাসিতা ছেড়ে শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, যে শ্রমিকরা তাদের কঠোর শ্রম দিয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে মালিকদের জীবন-জীবিকা উন্নত করা অথবা বিলাসবহুল জীবন যাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে সেখানে তারা বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে বিশেষভাবে নজর দেবেন সেটাই আমি চাই।

বুধবার (১ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ঐতিহাসিক মহান মে দিবসে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি বাংলাদেশে কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের নিয়ে রাস্তায় নামার চেষ্টা করে। এখন যে কারখানা আপনাদের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করছে কাজের ব্যবস্থা করছে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করছে এই কারখানা নিজেরা যদি ধ্বংস করতে যান, ভাঙচুর করেন তাহলে ক্ষতিটা কার হবে?

শ্রমিকদের তিনি বলেন, এতে নিজের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে। তেমনই দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। মালিকদেরও ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু মালিকদের তো আর একটা ব্যবসা থাকে না, আরও অনেক ব্যবসা থাকে। তারা হয়তো ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু আপনাদের নিজেদের ক্ষতি তো আপনারা নিজেরা করেন।

ধাপে ধাপে পোশাকশ্রমিক মজুরি মাত্র ৮০০ টাকা থেকে ১৬০০ এবং পর্যায়ক্রমে ২০২৩ সালে তা ১২ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করার প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশের শ্রমিক শ্রেণির দাবির জন্য, কথা বলার জন্য আমরা তো আছি। আমরা তো বলি। আমি শুধু প্রধানমন্ত্রী নই, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। আমি সেভাবেই নিজেকে বিবেচনা করি।

তিনি আরও বলেন,আপনাদের যদি কোনো অসুবিধা হয়, আমার দুয়ার আপনাদের জন্য সবসময় খোলা। আপনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সেগুলো আমরা দেখবো এবং আমাদের শ্রমিক সংগঠনও রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো সমস্যা হলে সেটা বলবেন, কিন্তু কারও প্ররোচনায় বা উসকানিতে নিজেদের রুটি-রুজি ও ভাত কাপড় ধ্বংস করবেন না। সেটার প্রতি আপনারা অবশ্যই যতœবান হবেন। আর মালিকদের বলবো- আপনারা আপনাদের বিলাসিতার কিছু অংশ ছেড়ে দিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণ দেখবেন।

তিনি এ সময় ক্রেতাদের উদ্দেশে বলেন, এখন তো সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। কাজেই আপনারা যদি পণ্যমূল্য কিছুটা বাড়িয়ে দেন, তাহলে আমি নিজেও মালিকদের আরও চাপ দিতে পারি আমাদের শ্রমিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য। আমি আশা করি আইএলও শুধু শ্রমিক নয়, মালিকদের এ বিষয়টিও দেখবে।

আলোচনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এইচ এম ইব্রাহিম, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পুতিয়ানেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান প্রমুখ অংশ নেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *