মসজিদে বিস্ফোরণে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭জনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি
শিল্প শহর নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গেলে বহু মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে্র শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাত সাড়ে আটটার দিকে মসজিদে প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় । এরপর মসজিদে আগুন ধরে যায়। নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এশার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে রাতে শতাধিক মুসল্লি এসেছিলেন। নামাজ শেষে এদের অনেকে তখনো মসজিদেই ছিলেন। ঠিক তখনই বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের অনেকের অবস্থা বেশ সংকট জনক বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। মসজিদের ইমাম এবং ৭ বছর বয়সী এক শিশুও এদের মধ্যে আছে।
নারায়ণগঞ্জের দমকল বাহিনীর উপ পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানিয়েছেন, মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন। তিনি জানান, মসজিদটির মেঝের নীচ দিয়ে গ্যাসের পাইপ গেছে। সেই পাইপে ফুটো হয়ে মসজিদের ভেতরে হয়তো অনেক গ্যাস জমে ছিল। এই অবস্থায় কেউ ভেতরে ইলেকট্রিক সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে গেছে। তারপর মসজিদের এয়ার কন্ডিশনারগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছে। তিনি বলেন, মসজিদের মেঝের নীচ দিয়ে কিভাবে গ্যাসের পাইপ গেল, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। এগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় অনেক মানুষ জানিয়েছেন, মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা প্রায়শই গ্যাসের গন্ধ পেতেন। দমকল কর্মীরা গিয়ে মসজিদের মেঝের নীচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস বেরুতে দেখেন। তারা গ্যাস লাইনটি বন্ধ করে দেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ডাঃ সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেছেন, হাসপাতালে সবারই সংকটজনক অবস্থা। কেউ আশংকামুক্ত নয়। বেশিরভাগ রোগীর কমপক্ষে তিরিশ শতাংশ পুড়েছে। অনেকের তারও বেশি। বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।