‘বিশ্বাস করে গিয়েছিলাম। কিন্তু বোকা বানিয়ে দিয়েছিল’: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২৪ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,
০৮ জুলাই ২০২৩ইং,
আব্দুস সাত্তারঃ
ইসরায়েলের নজরদারি প্রযুক্তি এনে বিরোধী দলের নেতাদের ফোন সরকার হ্যাক করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “ইসরায়েলি পেগাসাস প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করছে সরকার। এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।”
০৮ জুলাই শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটি সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “পকেটের টেলিফোনটাই এখন বড় শত্রু। ফোনে কথাবার্তা সবকিছুই এখন নজরদারিতে।”
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের বিষয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বিশ্বাস করে গিয়েছিলাম। কিন্তু বোকা বানিয়ে দিয়েছিল। ফলে এদের সঙ্গে সমঝোতা করা যায় না, করে লাভ হবে না, এরা আবার প্রতারণা করবে।”
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল বলেন, “কীভাবে আশা করেন যে, এই সরকারের অধীনের নির্বাচন হলে মানুষ ভোট দিতে পারবে?”
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “২০১১ সালের ১০ মে বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন করা যেতে পারে। কিন্তু সরকার এ নিয়ে ডাহা মিথ্যাচার করছে। কারণ, তারা দেখেছে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হলে ভোট পাবে না।”
ঢাকায় এ আলোচনা সভায় এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানসহ প্রমুখ।