বর্জ্য অপসারণে চমক
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ডিএনসিসির ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন
১৭ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,
০১ জুলাই, ২০২৩ ইং
আব্দুস সাত্তারঃ
নির্ধারিত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
০১ জুলাই শনিবার ঈদের তৃতীয় দিন দুপুরে ডিএনসিসির ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
বর্জ্য অপসারণে চমকের কথা উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন,
‘টানা বৃষ্টির মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ভাই-বোনেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে পূর্বঘোষিত আট ঘণ্টায় কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ করেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় এই কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। কাজটি সফল করা সম্ভব হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কঠোর পরিশ্রমে। তাই পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খানার আয়োজন করেছি। এই আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা হলো।’
মেয়র আরও বলেন, ‘আমি আট ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে শহরকে পরিষ্কার করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে শ্রমিক ভাই-বোনেরা। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরবাসীকে দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি দিতে ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমি, আমার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের নিয়ে মাঠে ছিলাম। তবে কাজটি সফল করতে মূল ভূমিকা রেখেছেন শ্রমিক ভাই-বোনেরা। সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি এই আয়োজন তাদেরকে উৎসাহিত করবে। সবার মধ্যে আনন্দের সঞ্চার হবে।’
প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনটি বাস্তবায়ন করেন।
এর আগে ঈদের দিন ২৯ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ২১ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিরলস শ্রমে মাত্র ৮ ঘণ্টায় উত্তর আর ১১ ঘণ্টায় সব বর্জ্য অপসারণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পরে সার্বিক বিষয়ে রাতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সহযোগিতার জন্য নগরবাসীকে ধন্যবাদও জানান দুই মেয়র।
এর আগে ঈদুল আজহার দিবাগত রাতের মধ্যেই বর্জ্যমুক্ত করা হবে ঢাকা, ভোরের আলো ফোটার আগেই নগরবাসী পাবেন বর্জ্যমুক্ত শহর, এমনই কথা দিয়েছিলেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস। দিনশেষে তারা সেই কথা রেখেছেন, চমকে দিয়েছেন নগরবাসীকে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব ওয়ার্ড থেকে কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, রাত দেড়টার দিকে সর্বশেষ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণের মধ্যে দিয়ে প্রথম দিনের কোরবানির পশুর সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
ঈদের দিন ঢাকায় বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় পশুর বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। বেশকিছু এলাকায় বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ করতে আনা হয় ভারী যন্ত্রপাতি। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অবশেষে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করে দক্ষিণ সিটি।
তবে দক্ষিণ সিটির চেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে ছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি করেন খোদ মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এরপর রাত ১০টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি জানায়, নির্ধারিত ৮ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে শতভাগ বর্জ্য।