বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি স্মরণে ডাকটিকিট অবমুক্ত
বিশেষ প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই উপলক্ষে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যমানের দুটি স্মারক ডাকটিকিট সমন্বয়ে ৩০ টাকা মূল্যমানের একটি স্যুভেনির শিট অবমুক্ত করেছে ডাক অধিদফতর। এছাড়া এ উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকায় তার দফতর থেকে স্মারক ডাকটিকিট সমন্বয়ে স্যুভেনির ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ও ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছেন। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্মারক ডাকটিকিট সমন্বয়ে স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট ডাটা কার্ড বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতির হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তির ইতিহাসের চূড়ান্ত অভিযাত্রায় ঘটনাবহুল ১৮ মিনিটের ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়, মুক্তির ঐতিহাসিক সোপান। এই ভাষণটি ছিল বঙ্গবন্ধুর উপস্থিত ভাষণ, এটির কোনো লিখিত পাণ্ডুলিপি ছিল না। বাঙালি জাতির পরাধীনতা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, বঞ্চনার হাহাকার, অত্যাচার, শোষণ, লাঞ্ছনা আর ক্ষোভ-হতাশার দীর্ঘশ্বাস, অধিকার হরণ ও মর্ম বেদনার অস্ফুট কান্নার সুদীর্ঘ কাহিনী পরম্পরা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নামক মহাকাব্যের মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে স্বতস্ফূর্তভাবে স্ফূরণ ঘটেছে এই ভাষণে। এই ভাষণ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিপূর্ণ এক দিক-নির্দেশনা, ঐতিহাসিক ঘোষণা।
যেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছেন,” সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম “।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডস ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ ইউনেস্কো কর্তৃক পরিচালিত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক ঐতিহ্যের একটি তালিকা। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকেই সম্মান এনে দেয়নি, সমগ্র দেশ ও জাতিকেও সম্মান এনে দিয়েছে।