নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে চিকিৎসাধীন ৩৭ রোগীর মধ্যে ২৭ জন মারা গেছেন। বাকি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসাধীন ৯ জনের মধ্যে পোস্ট অপারেটিভে রয়েছে চার জন, আইসিইউতে পাঁচ জন। এদের সবার ৫০ শতাংশের ওপরে দগ্ধ। মামুন (৩০) নামে একজন আশঙ্কা মুক্ত হওয়ায় তিনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর মামুনের শরীরের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সীগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টস কর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ইমরান (৩৭), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুয়েল (৭) এবং বাহার উদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫) জুলহাস (৩৫) শামীম (৪৫)। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এসময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় প্রায় সবাই দগ্ধ হন।