‘নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরলে রাজনীতির মানচিত্র বদলে যাবে’- শাহবাজ শরিফ
০৫ আষাঢ় ১৪২০ বঙ্গাব্দ,
১৯ জুন ২০২৩ ইং
আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বড় ভাই নওয়াজ শরিফকে (৭৩) দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (৭১)। ক্ষমতার ভার এখন নওয়াজের হাতেই হস্তান্তর করতে চাইছেন তিনি।
সমর্থকদের সেনানিবাস ভাঙচুরের জেরে একে একে নেতাদের দলত্যাগ, আদালতে একাধিক হাজিরা-সব মিলিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ইমরান খানের। সেনা-সরকার যোগসাজশে কার্যত দলছুটই হয়ে পড়েছেন তিনি। রাজনীতির মাঠ এখন ফাঁকা। তার এই কোণঠাসা অবস্থাকেই পুঁজি করে ঠিক সময় মতোই ঝোপ বুঝে কোপ মারছেন শাহবাজ। এ সুযোগেই নওয়াজকে চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অধিষ্ঠিত হওয়ার অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন তিনি। – জিইও নিউজ।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শনিবার দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের সভায় এ আবেদন করেন। বৈঠকে ভাষণে তিনি জানান, তিনি তার বড় ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। শারীরিক জটিলতার কারণে নওয়াজ শরিফ লন্ডনে নির্বাসিত রয়েছেন। দেশে ফিরে এলেই তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেবেন। বৈঠকে শাহবাজ শরিফ জানান, পিএমএলএনের একজন তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন। এ সময় ভাতিজি মরিয়ম নেওয়াজের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন তিনি।
ভাষণের একপর্যায়ে বলেন, ‘আপনি দেখতে পাবেন নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরলে রাজনীতির মানচিত্র বদলে যাবে।’ এ সময় দলীয় কর্মীদের সামনে মরিয়ম নেওয়াজ বলেন, ‘যে কোনো ছোট-বড় সিদ্ধান্ত হোক না কেন শাহবাজ শরিফ নওয়াজ শরিফের অনুমোদন ছাড়া কিছুই করেননি।’
শাহবাজ শরিফের দাবি, পাকিস্তানের কঠিন পরিস্থিতিতে তারা ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি মানুষের পিঠ ভেঙে দিয়েছে। তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। জোট সরকার একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা কঠিন সময়ের মুখোমুখি হব। আসন্ন বাজেটে সরকার কর্মচারীদের বেতন এবং পেনশন বাড়ানো হবে।’
এদিকে কর্মীদের নির্বাচনি প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। সিন্ধুর বন্যাকবলিত এলাকার প্রতিশ্রুত তাহবিল পাশ না হলে ফেডারেল বাজেটের বিরোধিতা করবেন তিনি। এ বিষয়ে রোববার খাজাখেলার এক জনসমাবেশে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শাহবাজ শরিফের আন্তরিকতায় আমার কোনো সন্দেহ নেই, তবে মন্ত্রিসভায় কিছু লোক বন্যাকবলিত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় তাহবিল দিতে অনিচ্ছুক। আমাদের অভিযোগের সুরাহা না হলে আমরা বাজেট সমর্থন করব না।’