দেশে ৪ ধরনের নারীগোষ্ঠী দুর্বল অবস্থানে : ড. দেবপ্রিয় ভট্রাচার্য
দিনবদল ডেক্স: র্তমানে আমাদের সমাজে চার ধরনের নারীগোষ্ঠী দুর্বলতম অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা ও নারীর অধিকার: নতুন বিবেচনা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি একথা বলেন।
সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। সংলাপের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমানে আমাদের সমাজে চার ধরনের নারীগোষ্ঠী দুর্বলতম অবস্থানে আছে বলে আমাদের কাছে মনে হয়। তারা হলেন- গৃহকর্মী, যাদের প্রায় অর্ধেকই অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী। দ্বিতীয় গোষ্ঠী নির্মাণশ্রমিক, তৃতীয় কৃষিশ্রমিক এবং চতুর্থ অভিবাসী নারী শ্রমিক।
তিনি বলেন, নারীদের পরিবার, সমাজ ও কর্মজীবন তিনদিকেই সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নারীদের উন্নয়নে নীতি বা প্রতিষ্ঠান যাই বলি না কেন, আমাদের একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে হবে। সমাজ বিবর্তনের একটি চেহারা সামনে নিয়ে আসতে হবে। নারী উন্নয়নে একটি সার্বজনীন এবং নিরন্তর বৈশাখী বিপ্লব দরকার বলেও মনে করেন তিনি।
সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যের উন্নতি, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, মেয়েদের স্কুলে পাঠানোসহ সব অর্জন নারীদের সক্রিয়তায় হয়েছে। এক্ষেত্রে নারীদের নিয়েই কাজ করা হয়েছে। তবে এতো অর্জনের পাশাপাশি কিছু নেতিবাচক সূচকও রয়েছে। যেমন- বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতনসহ কিছু সূচকে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সদস্য ড. সামসুল আলম বলেন, নারীদের উন্নয়নে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা দরকার। শুধু আইন করেই বাল্যবিয়ে বন্ধ করা যায় না। এক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বয়স্ক শিক্ষার ওপর জোর দেন তিনি।
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের সমাজে নারীরা অবহেলিত ছিল। তাদের সমতায় আনতে হলে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। নারী উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নাগরিক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ।
সংলাপে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির (বিএনডব্লিউএলএ) নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেরিমা আহমেদ প্রমুখ।