তাপনকে বড় ভাই বলে সম্বোধন করলেন ইশরাক

0

received_1267001890157703

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থীদের বৈধতা নিশ্চিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বড় ভাই ডেকে তার সাথে একমত পোষণ করেছেন বিএনপির প্রার্থী মো. ইশরাক হোসেন। এছাড়া নিজেরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করে নিজ দলের প্রার্থী ও কর্মীদের তা মেনে চলার অনুরোধ জানান এই দুই প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) গোপীবাগ রিটানিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র প্রার্থীদের বৈধতা নিশ্চিত হওয়ার পর ৭ মেয়র প্রার্থী একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেন।

৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ হবে আশাপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তাপস বলেন, সবার অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন হবে বলে আমি আশা করি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সবাইকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই। যদি তীব্র শীতও থাকে আমি আপনাদের কাছে আহ্বান করব, ভোরে ঘুম থেকে উঠে আপনার ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটের মাধ্যমে আপনাদের সেবককে নির্বাচন করবেন। আমার দল এবং আমার নির্বাচনি কার্যক্রমে যারা অংশ নিবেন সবাইকে অনুরোধ করব কমিশনের সব নিয়মকানুন মেনে প্রচারণা চালাবেন।

‘বড় ভাই’ তাপসের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিএনপির প্রার্থী মো. ইশরাক হোসেন বলেন, ভোটাররা অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। এটি আপনাদের অধিকার, আপনারা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করবেন। আমি প্রতিজ্ঞা করছি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবো। একইসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে যারা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন তারাও যেন আচরণবিধি মেনে চলেন- বিনীতভাবে এই অনুরোধ করছি।

এর আগে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ দলীয় সাত প্রার্থীর সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বৈধ মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রহমান, এনপিপির বাহারানে সুলতান বাহার, গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ।

সকালেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হন প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বেলা পৌনে ১০টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তখন দর্শক সারিতে বসা ছিলেন মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিলনের মনোনয়নপত্রে নিজের নাম ভুল থাকায় তাকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়। বাকিদের মনোনয়নপত্রের তথ্য সঠিক ছিল। পরে সবার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *