চির প্রস্থান নিলেন হোসেন তৌফিক ইমাম
বিশেষ প্রতিবেদনঃ
চির প্রস্থান নিলেন হোসেন তৌফিক ইমাম। যিনি এইচ টি ইমাম নামেই পরিচিত। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ডাকসাইটে আমলা। সরকারি চাকরি শেষ করে দীর্ঘ কর্মময় জীবনেও হয়ে উঠেছিলেন একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। পাশাপাশি ছিলেন সুবক্তা ও লেখক।
বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার পর রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এই নিবেদিত প্রান নেতার জীবনাবসান হয়েছে। তার বিয়োগে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে এইচ টি ইমামের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আজীবন কাজ করে গেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য স্বাধীন দেশে সরকার পরিচালনায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারাল।’
সহযোদ্ধা ও উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। সবার শোকেই উঠে এসেছে, তার কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবনের ভূয়সী প্রশংসা।
কিডনি জটিলতায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে মারা যান এই কর্মবীর। সকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও বিকেলে গুলশানে জানাজা শেষে বনানী গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জানা গেছে, এইচ টি ইমাম পূর্ব পাকিস্তানের উচ্চ পর্যাযে়র সরকারি কর্মকর্তা হযে়ও ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দাযি়ত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদায় জনপ্রশাসন-বিষয়ক উপদেষ্টা নিযে়াগ করেন। ২০১৪ সালে তাকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা নিযে়াগ করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে তার কযে়কটি গ্রন্থ রযে়ছে।