এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে অটোপাস দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
সোমবার,
৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯ আগস্ট ২০২৪ ইং
ডেস্ক রিপোর্ট:
এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো আর দিতে চান না পরীক্ষার্থীরা। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রমোশন অথবা অটোপাস দেওয়ার দাবি তাদের। এ দাবিতে কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন শিক্ষার্থীরা।
১৯ আগস্ট সোমবার দিনভর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান নেন পরীক্ষার্থীরা। তারা স্লোগানে স্লোগানে দাবি জানাতে থাকেন। দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
বিকেলে মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়া নতুন সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ রুটিন বাতিল করতে বোর্ড চেয়ারম্যানকে মৌখিক নির্দেশনা দেন। এরপরই বোর্ড প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নতুন রুটিন বাতিল করার কথা জানান। আর অটো পাসের যে সিদ্ধান্ত সেটি প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিতে পারেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে রুটিন প্রকাশ করা হয়েছিল, তা শিক্ষা সচিব বাতিলের মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। তার মানে রুটিন বাতিল করা হবে।
অটো পাস দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার এখতিয়ারে নেই। প্রধান উপদেষ্টা তোমাদের এ বিষয়টি জেনেছেন। প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, সচিব স্যাররা মিটিং করবেন। সেখান থেকে তোমাদের বিষয়টি নিয়ে ঘোষণা দিতে চান তারা। শুধু রুটিন বাতিল নয়। তোমাদের আরও যেসব দাবিগুলো আছে, সেগুলোও লিখে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। যতদূর জেনেছি, সিদ্ধান্ত তোমাদের অনুকূলে আসবে।’
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দেওয়া এমন আশ্বাসে উল্লাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। তারা জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে তারা আন্দোলন করছেন। তাদের অনেক সহপাঠী আন্দোলন চলাকালে আহত হয়েছেন। অনেকে জেল খেটেছেন। এমন পরিস্থিতিতে তারা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এজন্য তারা এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে প্রমোশন চাইছেন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।