‘এক দফা, এক দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ’: মির্জা ফখরুল

0

০৫ আষাঢ় ১৪২০ বঙ্গাব্দ,
১৯ জুন ২০২৩ ইং
জেলা প্রতিনিধিঃ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এ লড়াই নয়। তোমরা যারা নতুন প্রজন্ম আছো তাদেরকে রাজপথে নামতে হবে। তাহলে এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে স্লোগান ধরেন,‘এক দফা, এক দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ’।
সোমবার (১৯ জুন) বগুড়া সেন্ট্রাল স্কুল মাঠে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকেও জাগ্রত করতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার তারুণদের নিয়ে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়াতাবাদী যুবদল, স্বেচ্চাসেবক ও ছাত্রদল।
আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন, কোনো মানবাধিকার নেই, সেই স্বাধীনতা আজ তোমরা যারা নতুন প্রজন্ম আছো তাদেরকেই উদ্ধার করতে হবে এমন আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ছিল না, সেই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আজ আবার সেই গণতন্ত্রকে খেয়ে ফেলেছে এই আওয়ামী লীগ। আজ ফের তোমাদের দায়িত্ব নিতে হবে এই গণতন্ত্রকে উদ্ধারে। যেমন নেতৃত্ব দিয়ে উদ্ধার করেছিলেন দুলু সাহেবরা।
সমাবেশে আসা এক মেয়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলে, তারা আমার মেয়ে, ছেলের মতো। তাদেরকে এই সরকার চাকরি দেয়নি। কারণ তারা আওয়ামী লীগ করে না বলে। পরিবার বিএনপি হওয়ার কারণে।
যে সরকার রাজনৈতিক কারনে চাকরি দেয় না। যে সরকার বেকারদের চাকরি দিতে পারে না। দেশের মেধাবীদের একটা কর্মসংস্থান করে দিতে পারে না। এরা আবার উন্নয়নের কথা বলে।

‘আওয়ামী লীগ বলে উন্নয়ন নাকি দেখতেই পারি না আমরা, এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এক-দু’টি উড়াল সেতু করাই কি উন্নয়ন। যে দেশের মানুষ দু’মুঠো ভাত খেতে পারে না। তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের ভালো ভাবে পড়াতে পারে না। এটাকে কি উন্নয়ন বলা যায়?
আওয়ামী লীগের প্রশংসা পত্র না থাকলে চাকরি হয় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের লোক বলেছে, দেশটা প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, গিলে খেয়েছে এই আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের কথা তুলে ধরেন তিনি। উনি তো তাদের লোক।
হীরক রাজার কথা বলে তিনি বলেন, ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান’। এই সরকার এত কাপুরুষ, এত ভীতু, তারা এ সমাবেশের কারণে গাড়ি চলতে দেয়নি। গাড়ি চললে বগুড়াতে এত লোক হতো যাদের জায়গা দেয়া সম্ভব হতো না।

‘আমরা লুট বন্ধ করতে চাই, মানুষের অধিকার ফিরে দিতে চাই। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন,‘অনেক করছেন দেশের মানুষের জন্য’। কী করেছেন? তিস্তার পানি বণ্টন আনতে পারেন নাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেন নাই। কি করলেন তাহলে!’
মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু দিন আগে বললেন বিদ্যুৎ ফেরি করে বিক্রি করবেন, কিন্তু এখন সেই বিদ্যুৎ কই গেল? সব লুট করে, পাচার করেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। এরা সব খেয়ে শেষ করে দিয়েছে।
আমরা মানুষের অধিকার, ভাতের, ভোটের লড়াই করছি। এটা আমাদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এ লড়াই নয় জানিয়ে তিনি বলেন, তোমরা যারা নতুন প্রজন্ম আছো তাদেরকে রাজপথে নামতে হবে। তাহলে এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। এ সময় মির্জা ফখরুল স্লোগান ধরেন, ‘দফা এক, দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ’।
‘আজ পরিষ্কার কথা, নির্বাচন অবশ্যই এ দেশে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি দিতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের সব মামলা থেকে মুক্তি দিতে হবে। তারপর নির্বাচন হবে এ দেশে।’

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *